প্রতিনিধি ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৩:২৬:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি।।বরিশাল নগরীর রাস্তা-ঘাটে, দোকান-পাটে কোথাও বসতে পারি না, কোথাও দাঁড়াতে পারি না, আড্ডা দিতে পারি না, পাঁচ মিনিটের জন্য এর মধ্যে ১০-২০টা মশা কামড়িয়ে রক্তচোষে নেয়।ঘরে বাইরে সব জায়গায় মশা আর মশা।শীতের দিনে একদিকে যেমন শীত মশায় জনজীবন অতিষ্ঠ, তেমনি মশার যন্ত্রণায় নগর জীবন আরও বেশি যন্ত্রণাদায়ক হয়ে পরেছেন সাধারন মানুষ।মশা বিস্তারের কিছু কারণ হচ্ছে, যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা নালা, নর্দমা ঠিকমতো ও যথাসময়ে পরিষ্কার না করার কারণে মশার বংশবিস্তার আরও বেশি হয়ে থাকে। খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁর পেছনে উচ্ছিষ্ট খাবার ডাকনাযুক্ত ডাস্টবিন পাত্রে না রেখে খোলামেলা স্থানে ফেলে রাখা। ফুলের টপ, ডাবের খোস ও বিভিন্ন গর্তে জমে থাকা পানি এবং জলবদ্ধতা বাড়ি বা বাসার আশপাশের অপরিষ্কার ও পরিচর্যাহীন ঝোপঝাঁড় মশার বংশবিস্তারের অন্যতম কারণ।তাছাড়া জমে থাকা স্বচ্ছ পানি থেকে এডিশ মশার বংশ বিস্তার ঘটে থাকে।মশার কামড়ে ডেঙ্গু, জ্বর, ম্যালেরিয়া ও নানা উপসর্গ দেখা দেয়।
সিটিকর্পোরেশন কর্তৃক যথাসময়ে ময়লা-আবর্জনা, ড্রেন ও নালা-নর্দমা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজে বিলম্ব হলে মশার বংশবিস্তার আরও প্রকট আকার ধারণ করবে বলে জনান নগরবাসী।এতে করে মশার উপদ্রব আরও বেড়ে যাবে মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রাতে মশার কয়েল জ্বালানোর ধোঁয়া, স্প্রে এসব ব্যবহার করলেও এগুলো শিশুদের জন্য ও শ্বাসকষ্ট রোগীর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এমনকি ধোঁয়া ও স্প্রে সহ্য করতে না পারলে বড়দের জন্যও ক্ষতিকর থেকে সাময়িকভাবে কাশি সৃষ্টি হয়।
এর কারণে শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাছাড়া অসাবধানতার কারণে অনেক অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় মশার কয়েল থেকেই। মশার উপদ্রব থেকে সুরক্ষা পেতে মশারিই সবচেয়ে নিরাপদ হলেও প্রচণ্ড মশার কারণে সুযোগ পেলে মশারির মধ্যে ঢুকে পড়ে যা ঘুমানোর সময় ঘুরে ঘুরে কামড়ায় তখন ঘুমে বিঘ্ন ঘটে। তাছাড়া খাওয়ার সময়, পড়ার সময়, কোথাও বসে আড্ডা দেওয়ার সময় তো আর মশারি ব্যবহার করা যায় না।
এজন্য মশার প্রকোপ কমানো ও বংশবিস্তার রোধে স্থায়ী সমাধান চায় নগরবাসী। তাই মশা ও এডিশ মশার কামর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এবং মশা নিধনের জন্য বাড়ি বা বাসার আঙিনা বা আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, গর্তে, টপে, ডাবের খোসায় জমে থাকা পানি অপসারণ করতে হবে, জলবদ্ধতা দূর করতে হবে।মশা নিধন স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।সিটি কর্পোরেশন এবং মিউনিসিপালিটি কর্তৃক মশা নিধন স্প্রে ব্যবহার ব্যাপক হাড়ে বাড়াতে হবে ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।তাহলেই মশার উপদ্রব থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যাবে বলে জনান সতেতন নাগরিক ।
এ জন্য আমাদের সচেতন হতে হবে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন পক্ষ থেকে ব্যাপকভাবে উদ্যোগ নিতে হবে, যেন মশা নিধনের মাধ্যমে নগরবাসীকে স্বস্তি দেওয়া যায় এবং এডিস মশা ও মশাবাহিত রোগ থেকে যাতে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।