অপরাধ-আইন-আদালত

ভোলায় দুই ইভটিজারের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন

  প্রতিনিধি ১৪ মার্চ ২০২৩ , ১:৫৬:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোলা জেলা প্রতিনিধি।।ভোলার মনপুরায় দুই ইভটিজারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার মেলেনি নানার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর। আর থানায় অভিযোগ দেওয়ায় উল্টো বিপদে পড়েছে নানার পরিবার।

অভিযোগ তুলে নিতে চাপ আসছে বিভিন্ন মহল থেকে-এমন কথা জানান সেই ছাত্রীর নানা।

এদিকে ইভটিজারদের একের পর এক হুমকিতে মঙ্গলবার স্কুলে আসেনি সেই ছাত্রী।স্কুলের শিক্ষক,ম্যানেজিং কমিটি ও পুলিশ অভয় দিলেও ইভটিজারদের ভয়ে নানা সেই ছাত্রীকে তজুমুদ্দিনে মেয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে দুই ইভটিজার জিকু ও ইব্রাহীমকে ধরতে একাধিক অভিযান পরিচালনা করলেও আটক করতে পারেনি পুলিশ।এখন পর্যন্ত দুই ইভটিজারকে পুলিশ আটক করতে না পারায় ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেন সচেতন মহল। তারা মনে করেন এই ঘটনায় পুলিশ দুই ইভটিজারকে আটক করে দৃষ্টান্ত শাস্তির ব্যবস্থা না করলে দ্বীপের নারীশিক্ষা প্রসারে ব্যাহত হবে।

অভিযুক্ত দুই ইভটিজার যুবক হলেন-উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. জিকু ও একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোশারেফ সর্দারের ছেলে মো. ইব্রাহীম।

সেই ছাত্রীর নানা ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়,প্রতিদিন স্কুল যাওয়ার পথে জিকু ও ইব্রাহীম গতিরোধ করে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি সেই ছাত্রী নানাকে অবহিত করে।পরে বিষয়টি গত শনিবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করায় শনিবার সন্ধ্যায় ওই দুই ইভটিজার সেই ছাত্রীর নানার বাড়িতে গিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে বলে হুমকি দেয়।পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অবহিত করলে সোমবার প্রধান শিক্ষক সেই ছাত্রীর নানাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় দুই ইভটিজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।একপর্যায়ে স্কুল শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও পুলিশ অভয় দিলেও ইভটিজারদের হুমকিতে সেই ছাত্রীকে তজুমুদ্দিনে মেয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন নানা।

এ ব্যাপারে মনপুরা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাজিরহাট মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন জানান, আশা করি দুই ইভটিজারকে আটক করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। তা না হলে এই দ্বীপে নারীশিক্ষা প্রসার ব্যাহত হবে।

একই কথা বলেন মনপুরা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাজিরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগম।

এ ব্যাপারে উত্তর সাকুচিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান জানান,শিক্ষক,ম্যানেজিং কমিটি পরিবারকে অভয় দিলেও স্কুলে আসেনি সেই ছাত্রী। ভয়ে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মনপুরা থানার ওসি সাইদ আহমেদ জানান,দুই ইভটিজারকে আটক করতে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content