আরো

ভূয়া কাজীর দৌরাত্ব কুষ্টিয়া কোর্ট চত্বরে বাল্য বিবাহ ও অবৈধ তালাক বৃদ্ধি

  প্রতিনিধি ৩০ আগস্ট ২০২২ , ৬:৫৫:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ-কুষ্টিয়া কোর্ট চত্বর এলাকায় বেড়েছে অবৈধ বা ভুয়া কাজির দৌরাত্ম্য। তাদের ছত্রচ্ছায়ায় দেদারছে চলছে বিবাহ রেজিস্ট্রি ও তালাক নিবন্ধন।

একশ্রেণির দালাল ও এসব ভুয়া কাজি নিজেরাই সিল তৈরি করে কাবিননামার নকল বইয়ে বিবাহের রেজিস্ট্রি করছেন। চক্রটি অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রাতের আধারেও গোপনে এসে চালিয়ে যাচ্ছেন বাল্য বিবাহের কাজ। আরও এদেরকে সহযোগিতায় আছেন এক শ্রেনীর আইনজীবীরা।

অভিযোগে জানা যায়, কুষ্টিয়া পৌরসভার এ ওয়ার্ডের আদালত চত্বরে কাজি পরিচয়ে বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন করছেন জাকির হোসেন, রুবেল, আলামিন, এসরাফিল, সিরাজুল মিরপুর, আতিয়ার উজানগ্রাম ও খালিদ নামের কয়েকজন। কোর্ট চত্বরে কাজ করা এই কাজিদের মধ্যে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাজি বলে দাবি করেন তারা।

এছাড়া মিরপুর উপজেলার কাজি এয়ার আলী লাইসেন্স বাতিল হলেও এক লাইন্সেন্সে ছেলে সহ আরও তিনজন বিবাহ পড়ান এবং কাজি পরিচয় দিয়ে বিবাহ রেজিস্ট্রি ও তালাক নিবন্ধন কার্যক্রম করছেন।

কোর্ট চত্বরে চলছে ভুয়া জন্মসনদ, নকল কাবিননামা আর জাল সিল-স্বাক্ষরে বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রি। জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করে প্রাপ্তবয়স্ক বানিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হচ্ছে।

এর সুযোগ নিচ্ছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক, ঘর পালানো প্রেমিক-প্রেমিকা ও পরকীয়া প্রেমে আসক্তরা। এসব কাজি তাদের প্রয়োজনে নকল কাবিননামা, তালাকনামা ও বয়স প্রমাণের এফিডেভিটের ঘোষণাও দিচ্ছেন। এতে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যেমন আতঙ্কে রয়েছেন তেমনি পরকীয়ার বলি হচ্ছে প্রবাসীদের সংসার।

এতে সহজ সরল ছেলেরা ফাঁদে পড়ে ফেসে যাচ্ছ ।
পৌর শহরের কোর্টপাড়া এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া আমার মেয়ে সম্প্রতি আদালত চত্বরে গিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। মেয়ের এ কাজে আমার পরিবারের মধ্যে চরম অশান্তি বিরাজ করছে।

জাকির সহ কয়েকজনের অভিযোগ, ভুয়া এ সব কাজির বিরুদ্ধে জেলা রেজিস্ট্রারসহ স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় এদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হচ্ছে না। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার সাধন কুমার বিশ্বাস এর মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

আরও খবর

Sponsered content