সারাদেশ

ভারতের পেঁয়াজ ১১০ আর দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে

  প্রতিনিধি ৪ নভেম্বর ২০২৩ , ২:০৫:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।ভারতে রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে দেওয়ায় দেশের বাজারে আরেক দফা দাম বেড়েছে পেঁয়াজের।ভারতের পেঁয়াজ ১১০ আর দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।ব্যবসায়ীরা বলছেন,বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত নির্ভরতা কমিয়ে অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে।সুবিধা দিতে হবে শুল্কমুক্ত আমদানির।

গেল আগস্টে ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় পেঁয়াজের দাম এক লাফে ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৭০-৮০ টাকা কেজি।এদিকে কয়েকদিন আগে ভারত সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলার বেঁধে দেওয়ায় দেশের বাজারে দাম বেড়েছে আরেক দফা।

ভারত রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে দেয়ার পর গত রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ এসেছে ৫ হাজার ৪৯৬ টন।বর্তমানে এসব পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ আমদানিতে ভারত নির্ভরতা কমাতে হবে।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলছেন,দেশের পেয়াজের স্টক খুব বেশি নাই।পেঁয়াজের বাজারে খারাপ অবস্থা।দশ দিনে দাম বেড়েছে ডাবল।পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আসলে কমদামে পেয়াজ পাওয়া যাবে।ভারতে দাম বাড়ালে দেশে দাম বেড়ে যায়।সে ক্ষেত্রে সরকারকে অন্য ব্যবস্থা করতে হবে।

আমদানিকারকরা আরও জানান,চীন থেকে প্রতি টন পেঁয়াজ মাত্র ৫২০ ডলার দামে আমদানি সম্ভব।তবে আমদনিতে এক মাসের বেশি সময় লাগায় বিষয়টি ভালোভাবে বিবেচনা করতে হবে।সম্ভাব্য অন্য দেশ থেকে আমদানির পরামর্শও দিচ্ছেন তাঁরা।

দেশের পেঁয়াজ বাজার স্থিতিশীল রাখতে শুল্কমুক্ত আমদানির সুযোগ চান ব্যবসায়ীরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমদানিকারক মনিরুল ইসলাম মানিক বলছেন,গতকালই চায়নায় কথা বলেছি।তাঁরা রেট দিয়েছে ৫২০ ডলার। ৫২০ ডলারে পেঁয়াজ আনলে ৭০ টাকা পড়ে। কিন্তু একটা প্রবলেম আছে।ওই পেঁয়াজ আনতে ৩৫ দিন সময় লাগবে।এই সময়ের মধ্যে ভারতের পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।

আরও খবর

Sponsered content