রাজনীতি

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’- এর মতে, তারেক হলো ‘নব্য দাউদ ইব্রাহিম

  প্রতিনিধি ৭ অক্টোবর ২০২২ , ১:৩৬:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।। বিগত চারদলীয় ঐক্যজোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে তারেক রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন। সে সময় তারেক রহমানের সরকারের কোনো দায়িত্বশীল পদে না থেকেও বনানীর হাওয়া ভবন থেকে ‘ছায়া সরকার’ চালাতেন বলে মনে করা হতো।

চারদলীয় ঐক্যজোট-বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে দুর্নীতির অভিযোগে তারেক রহমানকে আটক করা হয়। দুর্নীতি ও অবৈধভাবে বিদেশে অর্থপাচার ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলাও দায়ের করা হয়।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সব মামলায় জামিন নিয়ে তিনি ‘চিকিত্সার জন্য’ লন্ডনে যান। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর একাধিক মামলায় তাঁর জামিন বাতিল করে পলাতক দেখিয়ে বিচার কাজ শুরু করে। তবে বহুল আলোচিত অর্থপাচার মামলায় নিম্ন আদালতে তারেক বেকসুর খালাস পান।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দম্পতির বড় ছেলে তারেক রহমান।তাঁর ডাক নাম পিনু। তবে তিনি তারেক জিয়া নামেই বেশি পরিচিত। ২০০৯ সালে দলের পঞ্চম কাউন্সিলে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, এর আগে ২০০২ সালে তিনি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মনোনীত হন।

লন্ডনে ২০১৪ সালে এক বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেন তারেক। ওই বছরের ২৬ মার্চ এক অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেন, তাঁর পিতা জিয়াউর রহমানই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি।পরবর্তী সময়ে তারেক তাঁর এই দাবির সপক্ষে বিভিন্ন যুক্তি-তথ্য তুলে ধরে একটি বইও সম্পাদনা করেন।

তারেক রহমানের জন্ম ১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর। তিনি শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন।ঢাকা রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

বিএনপি ও দুর্নীতি একে অপরের পরিপূরক শব্দ। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বিএনপির হাত ধরেই শুরু। জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ তছরুপ, চুরি-দুনীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য সারা দেশে বিএনপির রাজনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের চোর-বাটপার সন্ত্রাসী হিসেবে মনে করে দেশবাসী। অতীতের অপকর্মের কারণে বিএনপি নেতারা সমাজে মুখ দেখাতে পারেন না।

যার কারণে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে মেয়ের বিয়ে দেয়াসহ অন্যান্য সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় না দেশের বেশিরভাগ মানুষ।যা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও নিজ মুখে স্বীকার করেছেন।

অন্যদিকে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’- এর মতে, তারেক হলো ‘নব্য দাউদ ইব্রাহিম’। এছাড়া সম্প্রতি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্তি ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় পলাতক আসামি হওয়ায় বিএনপির সঙ্গে কূটনীতিকদের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকে তারেক জিয়াকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রায় সব দেশের কূটনীতিকরা। তারা তারেক জিয়াকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করায় হতাশ।

হাচান মাহমুদ বলেছেন,‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে যে ট্যাক্স ফাইল করেন সেখানে আয়ের উৎস উল্লেখ করেন জুয়া খেলা।’তিনি বলেছেন, আগে মানুষ তাকে হাওয়া ভবনের চোর বলতো, এখন বলে আন্তঃমহাদেশীয় চোর। এই আন্তঃমহাদেশীয় চোর বলার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানতে পারি, ট্যাক্স ফাইলে তিনি উল্লেখ করেছেন জুয়া খেলে তিনি অর্থ উপার্জন করেন।’

আরও খবর

Sponsered content