রাজনীতি

বিসিসির নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেতে আ, লীগের চার নেতা মরিয়া

  প্রতিনিধি ৯ এপ্রিল ২০২৩ , ৯:১৬:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি।।আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নির্বাচন।ভোটের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে আলোচনা।সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টারও দেখা যাচ্ছে অলি-গলিতে।প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা আর নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার দোটানায় থাকা বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল নিয়ে এই মুহূর্তে দুশ্চিন্তা নেই।তবে জটিল রাজনীতির সমীকরণ ইতোমধ্যে আলোচনার তুঙ্গে নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগকে।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসাঈন জানিয়েছেন,বরিশালে নৌকার প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।তার বিকল্প চিন্তা এমনকি প্রস্তাবনাও করবে না নগর আওয়ামী লীগ।

তবে নৌকা পেতে আরও তিনজন প্রার্থী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।এর মধ্যে সাদিক আব্দুল্লাহর জন্য বড় দুঃসংবাদ তার আপন চাচা আবুল খায়ের ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতের মেয়র পদে প্রার্থিতা ঘোষণা।এছাড়া মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন ও সরকারি ব্রজমোহন কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মঈন তুষার নির্বাচন করবেন বলে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন।

নগরবাসী আলোচনার টেবিলে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন দৌড় শেষে সত্যিকার অর্থেই কার কাঁধে উঠবে নৌকার বৈঠা তা নিয়ে।রোববার (৯ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বিক্রির নির্ধারিত সময় লক্ষ্য করে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঢাকায় অবস্থান করছেন।

জানা গেছে,দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করতে আরও ১০ দিন আগে ঢাকায় গিয়েছেন আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত।৬ দিন আগে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিয়ে ঢাকায় যান বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।শনিবার (৮ এপ্রিল) ঢাকায় পৌঁছান মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন এবং একই দিন ঢাকায় রওয়ানা দেওয়ার কথা সাবেক ভিপি মঈন তুষারের।

আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত জানিয়েছেন,প্রধানমন্ত্রীর কাছে মনোনয়ন চাইব।তিনি দিলে আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমি কি করব তা নির্ভর করে দলীয় প্রধানের ওপর।আমি নির্বাচন করতে চাই।

মাহামুদুল হক খান মামুন বলেন,দলীয় মনোনয়ন পেতে আমি ফরম পূরণ করব।দল মনোনয়ন দিলে ভোটের মাঠে থাকব। মনোনয়ন না পেলে কি করা যাবে তা নগরবাসীকে নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

তিনি জানান,আমি ১৯৮০ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হই।এই দীর্ঘ পরিক্রমায় কখনো নৌকা ছেড়ে যাইনি।আমি সুবিধাভোগী কর্মীও না।মানুষের জন্য কাজ করতে পছন্দ করি আওয়ামী লীগের হয়ে।বর্তমানে সিটি করপোরেশন দিয়ে নগরবাসী ন্যূনতম সেবা পাচ্ছে না।তারা এই অবস্থার পরিবর্তন চায়।

আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী মঈন তুষার বলেন,বিগত পাঁচ বছরেও নগরবাসীর আশা পূরণ করতে পারেনি বর্তমান মেয়র।জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।জনগণের স্বার্থেই আমি নেত্রীর কাছে মনোনয়ন চাইব।আশা করি দুঃসময়ের পরীক্ষিত একজন ছাত্রনেতা হিসেবে নেত্রী আমার বিষয়টি বিবেচনা করবেন। জনগণের স্বার্থ রক্ষায় আমি নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে চাই।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে,নির্বাচনে ইচ্ছুক প্রার্থীরা বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ব্যর্থতার আমলনামা লিখিত আকারে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডে জমা দিয়েছেন। যাতে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর জনবিচ্ছিন্নতা,আওয়ামী লীগে বিভাজন সৃষ্টি,নগরীর উন্নয়ন করতে না পারা,স্থানীয় প্রশাসনের সাথে দূরত্ব এবং বাসিন্দাদের ওপর অস্বাভাবিক কর আরোপ এই পাঁচটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

প্রসঙ্গত,বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

আরও খবর

Sponsered content