একজন রাজনীতিবিদের পরম পাওয়া জনগণের ভালোবাসা,মন্ত্রী হওয়া নয়-পররাষ্ট্রমন্ত্রী,ড. হাছান মাহমুদ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমার গাড়ির সামনে কোনও ভিখারিও যদি হাত দেখায়,আমি কিন্তু থেমে যাই।আমি এমন ছিলাম, এমনই থাকতে চাই।একজন রাজনীতিবিদের পরম পাওয়া জনগণের ভালোবাসা,মন্ত্রী হওয়া নয়। গণমানুষের নেতা হওয়া একজন রাজনীতিবিদের বড় বৈশিষ্ট্য, সেটাই হতে চাই।’

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের সামনে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম চট্টগ্রামে এসেছেন হাছান মাহমুদ।এ সময় শাহ আমানত বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের বাইরে মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান দলীয় নেতাকর্মীরা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম চট্টগ্রামে এসেছি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকেই এদেশে ইসলাম প্রচার শুরু হয়েছিল।আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে এখান থেকেই দায়িত্ব পালন শুরু করছি। আপনাদের কাছে দোয়া চাই,যাতে এই দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করতে পারি।দেশের মান-মর্যাদা আরও উজ্জ্বল করতে পারি।পূর্ব-পশ্চিম সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। এটাই আমার চাওয়া।’

এবারের নির্বাচনে আমার জন্য এলাকার সবাই অনেক কষ্ট করেছেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে চেষ্টা করেছি গণমানুষের এমপি হওয়ার।কে আমাকে ভোট দিয়েছে,কে দেয়নি,সেটি কখনও বিবেচনায় রাখিনি।আগামীতেও রাখবো না।আমি আওয়ামী লীগের লোক হলেও সব মানুষের এমপি হয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি এবং সবসময় করবো।নতুন অভিযাত্রায় সব মানুষের এমপি হিসেবে কাজ করতে চাই।যারা আমাকে ভোট দেয়নি কিংবা ভবিষ্যতে দেবে না,তাদের জন্যও কাজ করতে চাই।অবশ্যই দল এবং নেতাকর্মীদের জন্য আরও বেশি কাজ করতে চাই। আমি আপনাদের ভাই হিসেবেই থাকতে চাই।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী,দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী,উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম,মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন,উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান,দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান,মহিউদ্দিন বাচ্চু এমপি,রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার,বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা শফর আলী প্রমুখ।