রাজনীতি

শ্রমিকদের মজুরি ২৫ হাজার টাকা করতে হবে-মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম-

  প্রতিনিধি ১ মে ২০২৩ , ৩:০২:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন,শ্রমিকদের মজুরি ২৫ হাজার টাকা করতে হবে।যতক্ষণ পর্যন্ত মজুরি কমিশনের মাধ্যমে শ্রমিকদের বেতন না বাড়ানো হয়,ততক্ষণ পর্যন্ত সচিবদের বেতনও বাড়াতে দেওয়া হবে না। মহান মে দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার পল্টনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।ওই সমাবেশে নেতারা পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানান।

আজ সকাল ১০টায় গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের ব্যানারে একটি মিছিল পুরানা পল্টন মোড় থেকে শুরু হয়ে প্রেসক্লাব ঘুরে আবার পল্টন মোড়ে শেষ হয়।

পরে এক সমাবেশে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘অফিসারদের জন্য পে-কমিশন করা হয়।আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই,সচিবদের বেতন বাড়ানো হয়েছে।আর এক পয়সা বেতন বাড়াতে দেওয়া হবে না,যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রমিকদের মজুরি কমিশনের মাধ্যমে তার বেতন না বাড়ানো হয়।’

১ মে-কে শ্রমিকদের সংগ্রামের শপথ গ্রহণের দিবস হিসেবে উল্লেখ করে সেলিম বলেন, ‘সারা দুনিয়ায় প্রচলিত, যেখানেই যে কাজ করুক না কেন,জাতীয়ভাবে একটা ন্যূনতম মজুরি থাকবে।জাতীয়ভাবে বলে দেওয়া থাকে একটা ন্যূনতম মজুরি। একে বলা হয় জাতীয়ভাবে ন্যূনতম মজুরি। শ্রমিকসংগঠনগুলো দাবি করেছে,শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করতে হবে। এই মজুরি হলে বউ-বাচ্চা নিয়ে ন্যূনতম খেয়েপরে বাঁচতে পারবে।’

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করলেই হবে না, তাদের মজুরির দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে হবে। আট ঘণ্টা কাজের সময় সব জায়গায় কার্যকর হয় না। বিশেষ করে অসংগঠিত শ্রমিকের ক্ষেত্রে সময়ের কোনো হিসাব নেই। দুনিয়াতে এই দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আট ঘণ্টার বেশি কাজ করাতে হলে ওভারটাইম দিতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের সব জায়গায় এটি কার্যকর নয়।’

বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান
বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খানছবি: সাজিদ হোসেন
মহান মে দিবসে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান। তিনি বলেন, ‘মে দিবসের প্রধান স্লোগান হচ্ছে, দুনিয়ার মজদুর এক হও।কিন্তু দুনিয়ার মজদুর এক তো দূরের কথা, বাংলাদেশের মজদুরশ্রেণি এক হতে পারে না।’

মনজুরুল আহসান খান আরও বলেন,যতগুলো সমাবেশ হচ্ছে,সব জায়গায় একই বক্তব্য—ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করার দাবি।এই কথাগুলো আলাদা আলাদা জায়গা থেকে আমরা বলছি।আমি আহ্বান জানাচ্ছি,মে দিবস উপলক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।আমরা এক হয়ে একটা সমাবেশ করি,পল্টন ময়দানে কিংবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে,যেখানে কোনো সভাপতি থাকবে না,একজনের পর আরেকজন বক্তব্য দেবেন। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করি,তাহলে নিশ্চয় আমাদের দাবি প্রতিষ্ঠিত হবে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মন্টু ঘোষ, জলি তালুকদার প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content