শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে একটি পরীক্ষাই হবে-শিক্ষামন্ত্রী,ডা. দীপু মনি

  প্রতিনিধি ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৩:৩১:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে একটি পরীক্ষাই হবে।আগামীতে জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথাও জানান তিনি।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) চতুর্থ সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্বের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে মন্ত্রী বলেন,নতুন পাঠ্যক্রমের ওপর জঙ্গি হামলা হয়েছে।যা নেই তা উপস্থাপন করা হচ্ছে।এডিট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।নতুন বইগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ করা হচ্ছে।এটা সংশোধন হচ্ছে ও হবে।’

সমাবর্তনের শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন,বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায়।এ জন্য স্মার্ট নাগরিক গড়তে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে সহায়ক শিক্ষাক্রম নিয়ে কাজ করছে সরকার।একটি চক্র এই শিক্ষাক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।নতুন শিক্ষা কর্মের আলোকে ছাপানো বইয়ে যা নেই তা উপস্থাপন করা হচ্ছে।এডিট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।তারা শিক্ষার্থীদের মগজ ধোলাইয়ের পদ্ধতি বহাল রাখতে এ কাজ করছে।আমাদের শিক্ষার্থীরা মগজ ধোলাইয়ের শিকার হবে না। তারা ভাবতে শিখবে,পৃথিবীকে জানবে। তাদের সেই চিন্তা ও মননশীলতার জায়গাটা স্বাভাবিক রাখতে সরকার সবকিছু করবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন,আগামীতে জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আছে তারা তাদের সিটের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করবেন না।সারা পৃথিবীর মতো কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিতে আগামীতে একটি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।ঘন ঘন পরীক্ষা অর্থবহ না।

তিনি আরও বলেন,আগামীর বিশ্বে তাল মেলাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে হবে। পাঠদানের পাশাপাশি পাওয়া জ্ঞানকে কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে। আমাদেরকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় যেতে হবে।

অনুষ্ঠানের সমাবর্তন বক্তা স্বাধীনতা পদপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর হাসিনা খান বলেন,আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হলে গবেষণার কোন বিকল্প নেই।গবেষণায় প্রেমের সকল উপাদান রয়েছে।এক রোমাঞ্চকর অনুভূতির মধ্য দিয়ে গবেষণার সময় অতিবাহিত হয়।গবেষণায় আসলে নতুন নতুন বিষয় জানার সুযোগ রয়েছে।ফলে যাদের সুযোগ আছে তাদের গবেষণায় আসতে হবে।

সমাবর্তনে স্নাতক,স্নাতকোত্তর,এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে এক হাজার ৮৩৪ জন গ্রাজুয়েট অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের বাবা-মা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এবারের সমাবর্তনে ২২ জন গ্রাজুয়েট চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ২৬ জন ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড এবং ৯ জন ডিন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যবৃন্দ,বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য,উপ-উপাচার্য,সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content