জাতীয়

বিয়ের জন্য কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নেওয়ার আগে আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ বাধ্যতামূলক

  প্রতিনিধি ১০ জুন ২০২৪ , ২:০৫:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বিয়ের জন্য অপরিহার্য তালিকায় প্রথমেই থাকে কমিউনিটি সেন্টার।তারপর বর বা কনেযাত্রীদের জন্য ফুলেল শুভেচ্ছা আর আপ্যায়ন।যার মধ্যে থাকে কোমল পানীয় বা বেভারেজ,জুস,আইসক্রিম ইত্যাদি।এরপর থাকে দূরে কোথাও হানিমুন বা ভ্রমণের বিষয়।কোনো পার্ক বা রিসোর্টেও যাওয়া হতে পারে।

তবে দুঃসংবাদটা হচ্ছে, বিয়ে সংক্রান্ত এসব সেবার দাম বেড়েছে এবারের বাজেটে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিয়ের জন্য কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নেওয়ার আগে আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

শুধু কি বিয়ে,বিয়েবার্ষিকী,গায়েহলুদ,প্রিয়জনের জন্মদিনসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করা হয়।এখন থেকে বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ ছাড়া মিলনায়তন ভাড়া করা যাবে না।বাজেট পাসের পর জুলাই থেকেই নতুন নিয়ম মানতে হবে।

আর অবিবাহিতদের হানিমুন কিংবা ভ্রমণকে যারা নিরাপদ ও আরামদায়ক করবে সেই ট্যুর অপারেটর সেবার ওপর বিদ্যমান মূসক অব্যাহতি প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।কোমল পানীয় বা বেভারেজ,ঠান্ডা কোনো জুস,আইসক্রিমে সম্পূরক শুল্ক বাড়ছে পাঁচ শতাংশ।সেই সঙ্গে অ্যামিউজমেন্ট পার্ক,থিম পার্কে মূসক ৭ দশমিক ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।ফলে নতুন দম্পতিদের ঘোরাঘুরির খরচ বাড়বে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রস্তাবিত এ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,বর্তমানে ৪৩ ধরনের সেবা পেতে রিটার্ন জমার কপি লাগে।এই তালিকায় মিলনায়তন ভাড়া নিতে রিটার্ন জমার এই বাধ্যবাধকতা যুক্ত হচ্ছে।

এদিকে আগামী অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না। এখনকার মতো বার্ষিক করমুক্ত সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকাই থাকছে।তবে করহার পুনর্বিন্যাস হচ্ছে।এখন ৫, ১০, ১৫, ২০ ও ২৫ শতাংশ করহারের সঙ্গে ৩০ শতাংশের আরেকটি স্তর আসছে।বছরে আয় সাড়ে ৩৮ লাখ টাকার বেশি হলে করদাতাকে বাকি অর্থের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

আরও খবর

Sponsered content