জাতীয়

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয় দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রাখতে চায়-পররাষ্ট্রমন্ত্রী,ড. এ কে আব্দুল মোমেন

  প্রতিনিধি ১১ জানুয়ারি ২০২৩ , ১২:২১:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক রাখা চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন,বাংলাদেশ উভয় দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রাখতে চায়।

তিনি বলেন,যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে। সেটি তাদের মাথাব্যথা।আমরা উভয়ের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক বজায় রাখবো।

যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন ঢাকা সফর প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন,ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুব ভালো।আমরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে চাই।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লুবাখারের বাংলাদেশ সফর করেছেন।এরমধ্যে গত সোমবার দিনগত রাতে ঢাকায় যাত্রাবিরতি করেন চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং। ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ককে উভয় দেশই গুরুত্ব দিচ্ছে।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার সফরের মধ্যে চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকায় যাত্রাবিরতির সময় আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফ্রিকা যাওয়ার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন।অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন,এটা ভালো খবর,আমরা অনেক দেশ থেকে যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছি।ভূ-রাজনীতি ছাড়াও বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়েছে।তারা (বিদেশিরা) বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশে ব্যবসার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।এ সুযোগ কেউ হাতছাড়া করতে চায় না।বাংলাদেশও সব দেশের সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত থাকতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে বাংলাদেশের ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মোমেন বলেন,এটি একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়।

তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশ বিভিন্ন বৈশ্বিক পরাশক্তির ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।আমি অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই,কারণ অনেক দেশ ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির কারণে আমাদের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।

বিমানবন্দরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ বিষয়ে মোমেন বলেন,খুবই উপকারী ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। চীন আমাদের উন্নয়ন যাত্রায় সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তারা আমাদের সঙ্গে অংশীদার হিসেবে কাজ করতে চায়।

আলাপকালে বাণিজ্য,বিনিয়োগ,উন্নয়ন প্রকল্প,টিকা সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

বাংলাদেশ এক চীন নীতিতে বিশ্বাস করে জানিয়ে মোমেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুদেশের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ব্যবধানের বিষয়টি উত্থাপন করে,চীনের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ৯৮ শতাংশের জন্য শুল্কমুক্ত এবং কোটামুক্ত সুবিধা দেওয়ার জন্য বেইজিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান।

আরও খবর

Sponsered content