অপরাধ-আইন-আদালত

বিমানের জিএম মিজানুরের দুর্নীতির খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক

  প্রতিনিধি ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ , ৩:১৫:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অর্থ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. মিজানুর রশীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।অভিযোগ অনুসন্ধানে এরই মধ্যে দুই সদস্যের টিম গঠন করেছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন,বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অর্থ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মিজানুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে দলনেতা ও মো. জাকির হোসেনকে সদস্য করে একটা টিম গঠন করা হয়।বিধি মোতাবেক অভিযোগটির অনুসন্ধান কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মিজানুর রশীদ দুটি সফটওয়্যার কিনে সরকারি ৫ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন এমন অভিযোগসহ বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জিএম মো. মিজানুর রশীদের বিরুদ্ধে গত ১৭ জানুয়ারি বিভাগীয় মামলা করে বিমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়,মিজানুর রশীদ বিমানের সফটওয়্যার ক্রয়ের জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিমানের ক্রয়নীতি লঙ্ঘন করেছেন।বিমানে কোনো সফটওয়্যার কেনার আগে তার বিকল্প সফটওয়্যার কী কী আছে,সেগুলোর বিষয়ে আরএফপি (রিকুয়েস্ট ফর প্রপোজাল) দিতে হয়। সেটি তিনি দেননি। এছাড়া তিনি বিমানের আইটি বিভাগ বা অন্য কোনো কমিটির পরামর্শ না নিয়ে ইন্টারফেস কস্ট সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করেন।প্রোটকল অনুযায়ী কোনো কিছু ক্রয়ের আগে যেসব কর্মকর্তার মতামত নিতে হয় তাদের সবার মতামতও নেননি তিনি।

অভিযোগপত্রে বলা হয়,অসত্য,মিথ্যা,মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে বিমান ব্যবস্থাপনাকে ভুল পথে পরিচালিত করে এবং বিমান ক্রয় নীতিমালা যথাযথ অনুসরণ না করে অসঙ্গতিপূর্ণ প্রশাসনিক আদেশ উপস্থাপনের মাধ্যমে সফটওয়্যার ২টি ক্রয় করায় বিমান বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়,যার দায় তিনি এড়াতে পারেন না।

এতে আরও বলা হয়,মিজানুর রশীদ ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সুবিধা আদায়ের জন্য সফটওয়্যার কেনার দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে গোপন রেখে সরাসরি মেসার্স অ্যাকেলয়া কেল সলিউশন লিমিটেডের সঙ্গে ক্রয়চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন।

এছাড়াও বিমান ক্রিকেট দলের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে তার বিরুদ্ধে ‘ইন্টার স্পোর্টস’ নামে একটি দোকান থেকে খেলাধুলার সামগ্রী কেনার নামে ভুয়া ভাউচার দিয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের আরও একটি অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।

আরও খবর

Sponsered content