সারাদেশ

বাবুগঞ্জের উচ্ছেদ নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন

  প্রতিনিধি ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ , ৪:২৪:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি।।গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নে ফসলি জমিতে পানি সেঁচ ও নির্গমনের জন্য নালা(ড্রেন)’র জমি উদ্ধার করতে গিয়ে বাধার মুখে পরে প্রশাসন। এসময় সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয় ঘটনাস্থল থেকে।

ঘটনার একদিন পর মঙ্গলবার ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবদুল হালিম সংবাদ সম্মলন করে অভিযোগ করে বলেছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ম্যানেজ কোন কাগজপত্র না দেখিয়ে স্থানীয় মেম্বারের কথার উপর ভিত্তি করে তার জমির উপর থেকেই বেকু মেশিন চালানোর পাশাপাশি বসতবাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।

এঘটনার তার দুই ছেলেকেও তিন মাসের সাজা প্রদান করা হয়েছে।

তাই সরকারের কাছে ক্ষতিপুরন ও দুই ছেলের মুক্তি চেয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় শহীদ আবদুর রব সরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবদুল হালিম।

এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনওর উপস্থিতিতে ইউপি মেম্বার মোসলেম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা তার বাড়ির মধ্যে ঢুকে তাণ্ডব চালায়।

ইউএনওর অভিযানের সময় তাদেরকে একটি রুমে আটকে রাখা হয় এবং সকলের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে যাওয়া হয়। সেই মোবাইল তারা এখনও ফেরত পায়নি।
তার বাসা থেকে স্বর্নলংকার, ৫ লক্ষ টাকা সহ অনেক মুল্যবান জিনিস খোয়া গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের আরজি কলিকাপুর গ্রামে আমার নিজস্ব বসতবাড়ি। যা পৈত্রিক সুত্রে ও ক্রয়সুত্রে দীর্ঘ বছর কাল অবধি ভোগদখল করে আসছেন। যার দলিল নং২৪৫৪,১৩৯৫, ৮১৯।

তিনি বলেন, আমি বিগত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বর্তমান ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিনের পক্ষে কাজ না করায় তিনি আমার ও আমার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত।

পুর্ব শত্রুতার জের ধরে গত গত ২ জানুয়ারি মোসলেম মেম্বার, সাইফুল আকন, আব্দুর সণ্ডার, আমিনুল ইসলাম সহ আরও বেশ কিছু লোক আমার বসতবাড়ি ও সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালায়। আমি বাঁধা প্রদান করলে তারা চলে যায়।

পরে আমি বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলাটি দায়ের করি যার নং ৪/২০২৩(এয়ারপোর্ট)।পরে আমার বাড়িতে এসে মোসলেম উদ্দিন মেম্বার বলে যে দায়েরকৃত মামলা
উঠিয়ে নিতে হবে এবং ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। অন্যথায় আমার বসতঘর ভাংচুর ও আমাকে খুন জখমের হুমকি দেয়।

এরপর মোসলেম মেম্বার সহ আরও ৮/১০ জন লোক আমার বাড়িতে এসে গত ৩ জানুয়ারি বিবাদীদের ভোগ দখলে থাকা দালাল বাড়ি দক্ষিণ পূবার্শে পুর্বের নালা থাকার পরও সম্পুর্ন উদ্দেশ্যমুলক ভাবে আমার বসতবাড়ির উঠান, মুরগির ফার্ম ভাঙ্গে,এবং বিভিন্ন গাছপালা সহ গভীর
নলকুপ উপরাইয়া ফেলে। এ ঘটনার পর আমি ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে সংশ্লিষ্টদের আমার জমি থেকে সড়িয়ে দেয়। পরবর্তী সময়ে মোসলেম উদ্দিন মেম্বার আমাকে হুমকি দিতে থাকে যে, আমার জমির উপর থেকেই নালা কেটে নেবে। পরবর্তীতে আমি এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত
আকারে জানানোর পর বিবাদীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়।

তারা যেকোন উপায়ে হোক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে গিয়ে ম্যানেজ করে ফেলে যার পরিপেক্ষিতে গত সোমবার ২৩ জানুয়ারি ইউএনও কোন কাগজপত্র না দেখেই স্থানীয় মেম্বারের কথার উপর ভিত্তি করে আমার জমির উপর থেকেই বেকু
মেশিন চালানোর পাশাপাশি আমার বসতবাড়ি ভাংচুর করে।

তিনি বলেন, ভাংচুর বা উচ্ছেদ করা হয়েছে তা আমার পৈতৃক এবং ক্রয়কৃত সম্পত্তি। শুধু আমার বসতভিটা ভাংচুরই নয় এমনকিও মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার ৩ ছেলেকে আটক করে নিয়ে যায় ও তার
অফিসে নিয়ে সাজা প্রদান করে।

তিনি আরো বলেন, আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসকে জানিয়েছি তিনি ২৬ জানুয়ারি বরিশালে এসে দেখবেন বলে আমাদের জানালেও আমি জানি না ইউএনও কেন আমার উপর এত ক্ষোভ।

আমি উপজেলা চেয়ারম্যান দুলালকে ও বরিশালের মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মানিক
বীরপ্রতীক কে বিষয়টি জানালে তারা বিষয়টি বরিশালের জেলা প্রশাসক কে অবহিত করেন পরে উপজেলা
চেয়ারম্যান আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক বরিশালে না আসা পর্যন্ত উচ্ছেদ হবে না তবুও ইউএনও কার প্ররোচনায় আমার বসতবাড়ি ভাংচুর করল?

তিনি বলেন, তারা আমাকে সমাজের কাছে সন্ত্রাসী উপাধী দিতে বোমা হামলার কথা বলে কিন্তু ঐস্থানে কোন বোমা ফোটে নাই।

সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে তিনি এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রী) ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আরও খবর

Sponsered content