অপরাধ-আইন-আদালত

বাকেরগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বাঃ-গর্ভপাতের ঔষধ সেবনে মৃত্যু

  প্রতিনিধি ৮ অক্টোবর ২০২৩ , ২:২৩:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল প্রতিনিধিঃ।।বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় দূর্গাপাশা ইউনিয়নে শাকিল গাজী নামের এক যুবকের প্রেমে স্কুল ছাত্রী ফাতেমা আক্তার মিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গর্ভপাতের ঔষধ সেবনে মাত্রারিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যুবরণ করেছে।

আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ বিভাগে ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার (৮ অক্টোবর ) সকাল ১০টায় ফাতেমা আক্তার মিমের মৃত্যু হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ ও ওই স্কুল ছাত্রীর মা।মৃত ফাতেমা ওই ইউনিয়নের দর্জি বাড়ি দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী এবং ইছাপুরা গ্রামের ওমর ফারুক হাওলাদারের মেয়ে ।

ওমর ফারুক বলেন,একই উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের মৃত রাজ্জাক গাজী পুত্র শাকিল গাজী (২৩) তাদের পাশ্ববর্তী এলাকার হওয়ায়,মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে তার মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে হয়।তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে।এতে আমার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। বিষয়টি আমার মেয়ে শাকিলকে জানালে তার বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পাশ্ববর্তী থানা বাউফলের কালিসুরি বাজারে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। ক্লিনিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারে ফাতেমা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।এরপর শাকিল গাজী ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ও বোন ইয়াসমিন মিলে ফাতেমাকে গর্ভপাতের ঔষধ সেবন করিয়ে দেয়।কিন্ত শিশু অপসারণের সময় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ফাতেমা অসুস্থ হয়ে যায়।

মৃত্যু শিক্ষার্থীর মা জানান,মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখে বেশ কয়েকদিন ধরে তার সন্দেহ হয়। অভাবের সংসার দেখে ডাক্তারে কাছে নিয়ে জাইতে পারি নাই।এরপর মেয়ের কাছে জানতে চাইলে সে ঘটনা খুলে বলে।পরে শাকিল গাজীর কাছে জানতে চাইলে সেও তার অপরাধের কথা স্বীকার করে। এনিয়ে আমাদের এলাকার মুরুব্বী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য নুর মোল্লার নিকট জানালে তিনি শাকিলের আপন বড় ভাই জাফর গাজী ও নিকট আত্মীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামকে জানায়।কিন্তু তারা আজ না কাল বলে ঘুরাঘুরি করতে থাকেন।এদিকে ফাতেমাকে গর্ভপাতের ঔষধ সেবন করিয়েছে,যে কারণে ফাতেমা অসুস্থ হয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে ,এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।গত (৩০ সেপ্টেম্বর ২৩) শনিবার সন্ধ্যায় কালিসুরি বাজারে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যাই,ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে বরিশাল নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।ফাতেমার বাচ্চা পেট থেকে বের করার জন্য অপারেশন করা হয়।এতে তার আরো শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে আইসিইউ বিভাগে রাখা হয়।আর আইসিইউতে বসেই মৃত্যু হয়।

ঘটনার আগে বা পরে কোন খানে লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন কিনা?তা জানতে চাইলে তিনি বলেন ,ফরিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম শফিক ও শাকিলে নিকট আত্মীয় ইউপি সদস্য নজরুল এবিষয়ে শালিস মিমাংসা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন।তাই আমরা থানায় জানাইনি এছাড়াও মান-সম্মানের ভয়ে চুপ ছিলাম।

মৃত্যু বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানা ওসি তদন্ত মোস্তফা জানান, ফাতেমা আক্তার মিম নামে এক মাদ্রাসার ছাত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে মৃত্যু কথা শুনেছি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content