সারাদেশ

বরিশালে বাকপ্রতিবন্ধীর জমি দখলের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ১২ অক্টোবর ২০২৩ , ২:৫৩:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল প্রতিনিধি।।প্রতিবন্ধী হওয়ায় অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে নগরীতে সম্পত্তি দখলের মিশনে সুস্থ সবল তবে বিকৃত মস্তিষ্কের আপনজনেরা!সম্পত্তি দখল করতে মরিয়া একটি চক্র!

বরিশাল নগরীতে এক বাক প্রতিবন্ধী’র সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে অসহায় পরিবারকে অহেতুক হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডের পূর্ব বগুড়া রোডস্থ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা সাবেক সরকারি কর্মচারী মৃত মজিবুর রহমানের বড় ছেলে বাকপ্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান নবিন তার পৈতৃক ভিটায় স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছে৷

বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় বিভিন্ন উপায়ে তাদের উৎখাত করতে অতেতুক ভাবে তাদের উপর নানান রকমের অন্যায় অত্যাচার করে আসছে তারই আপন ছোট ভাই মাহফুজুর রহমান নয়ন ও ভাইয়ের স্ত্রী রোকসানা আক্তার মিতা সহ বেশকয়েকজন। নিজের ঠোক নিজেই কামড়ে আর স্বামীর মাথায় আঘাত করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে প্রতিবন্ধী আপন বড় ভাইকে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর পায়তার বিষয়টিও স্থানীয়দের কাছে বেশ পরিচিত।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি তাদের এমন উদ্ভট আচরন নিত্যদিন দেখে দেখেই এক প্রকার অভ্যস্ত।এনিয়ে স্থানীয়দের কেউ এগিয়ে আসলে তাদেরকেও নানান ঝামেলায় ফেলে বলে দেখা ছাড়া তারাও এক প্রকার নিরুপায়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,বাকপ্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান নবিন পরিবারের বড় ছেলে হওয়ার পরেও তারই আপন ছোট ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী তাদের আত্মীয় স্বজন দের সাথে গোপন সক্ষতা গড়ে তাদের সামাজিক ভাবে বসবাস করতে বাধা বিঘ্ন ঘটিয়ে আসছে।বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় নবিনের কোন আয়ের উৎস নেই।তারা তাদের পরিবারের যাবতীয় সকল কিছু তার অংশের ফ্লাট ভাড়া থেকে আসে আর একমাত্র আয়ের উৎস এই বাসা ভাড়া থেকেই আসে৷ দীর্ঘ বছর যাবৎ নবিনের ছোট ভাই ও তার পরিবারের কতিপয় রা মিলে তাদের যেকোন বিষয় নিয়ে গায়ে পড়ে ঝড়গা বিবাদ সৃষ্টি করে আসছে।

এ থেকে প্রতিকার পেতে স্থানীয় কাউন্সিলর ও প্রশাসনের দারস্থ হয়েছে একাধিক বার।তবে প্রতিবন্ধী হওয়ার সুবাদে তাদের অনুকূলে নেই তার স্বজনরাই।নিজেদের মধ্যে ঝামেলার সমাধানে বরিশাল জেলা জজকোর্ট এ একটি মামলা চলমান থাকলেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ক্ষমতা এবং অর্থ দিয়ে প্রতিবন্ধী পরিবারের উপর নানান রকমের ঝামেলা সৃষ্টি করে তাদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।পুরোনো ভবনের সংস্থার করতে গেলে বাকপ্রতিবন্ধী নবীনের ছোট ভাই ও তার ভাইয়ের স্ত্রী নতুন বাজার পুলিশ ফাড়ির এস আই শফিকুল কে দিয়ে তাদের সংস্কারকাজ বন্ধ করে দেয়।

এবিষয়ে নতুন বাজার পুলিশ ফাড়ির কর্তব্যরত এসআই শফিকুল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন লিখিত অভিযোগ এর পরিপ্রেক্ষিতে চলমান কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।লিখিত অভিযোগ এর কপি কিংবা কাজ বন্ধ করে দেবার মত আইনি নোটিশ দেখাতে ব্যর্থ হলে তিনি একপর্যায়ে বরিশাল মডেল থানার সেকেন্ড অফিসারের সাথে কথা বলতে বলেন।সংস্কারকাজ পুনরায় ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে শুরু করলে পূ্র্বের ন্যায় তাতে বাধা প্রদান করে বাকপ্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান নবিন কে তার ভাইয়ের স্ত্রী মারধর করেন এবং নিজেই নিজেকে আঘাত করে নবিনকে ফাসিয়ে জেল হাজতে ঢুকিয়ে তাদের ফ্লাট জবরদখল করে নিবেন বলেও হুমকি ধামকি দেয়।

এ বিষয় অভিযোগ কারী ভুক্তভোগী বাকপ্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান নবিনের স্ত্রী জানায়, তাদের অতিরিক্ত অর্থ নেই এবং নেই কোন ক্ষমতাধর ব্যক্তী আর তার স্বামী বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় এই দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের উপন নানান রকমের অন্যায় অত্যাচার করে আসছে।আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আইননুসারে আদালত যে রায় ঘোষণা করবে সেটা আমাদের মেনে নিতে হবে৷কিন্তু আদালতের রায় ঘোষণার পূর্বেই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের উপর অন্যায় ভাবে অত্যাচার করে আসছে তার দেবর ও দেবরের স্ত্রী৷ আমি আমাদের উপর করা এসকল অন্যায় ভাবে অত্যাচরের বিষয় সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষ দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে।

এছাড়াও তার স্বামী বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে তার স্বামী কে মারধর করার বিষয় এবং তাদের উপর যে অন্যায় ভাবে অত্যাচার জুলুম করে আসছে সে বিষয় এলাকার বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিরা জানেন৷যা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকাশ পাবে প্রকৃত সত্য ঘটনার। তাদের ভাড়াটিয়া দের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে বাসা ছেড়ে দিতে বলে আসছে।

সম্প্রতি তাদের ভবনের ছাদ সম্পূর্ণ দখল করে তালা বন্ধ করে রেখেছে৷তাদের পানির ট্যাংক মটর ইত্যাদী বিভিন্ন সময়ে ভেঙে ফেলছে।নিরাপত্তার কারনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করলেও তারা তা কয়েকবার করে ভেঙে ফেলছে।তারা গভীর রাতে মাদক সেবন সহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ করে যে কারনে সিসি ক্যামেরা ভেঙে তাদের অন্যায় ঢেকে রাখতে এসব কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও সম্পত্তি নিয়ে আমাদের বরিশাল জেলা জজ আদালতে চলমান মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে ২০২৪ ইং সালের ২৪ জানুয়ারিতে।মামলায় আদালত থেকে কোন ধরনের স্থগিতাদেশ দেয়া হয়নি।অথচ আদালতের নাম ব্যবহার করে তারা মিথ্যা বলে রটাচ্ছেন।আদালত নিষেধাজ্ঞা না দিলেও তারা মনগড়া ভাবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে আদালত কেও অবমাননা করছেন৷ এবিষয়ে তারা বর্তমানে তাদের জান মাল ও প্রান নাশের আশংকায় রয়েছে৷

এবিষয়ে আইনি সহায়তা নিতে কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

আরও খবর

Sponsered content