জাতীয়

প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

  প্রতিনিধি ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ , ৫:৪২:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।দেশে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে রফতানির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী আরও বলেন,বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।একটা সময় কোরবানির জন্য ভারত-মিয়ানমারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো।এখন আমাদের প্রাণিসম্পদের উৎপাদন এত বেড়েছে যে আমরা বিদেশে রফতানি করার পর্যায়ে পৌঁছে গেছি।

যারা প্রাণিসম্পদের খামার করছেন তারা নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করছেন,ফলে এ খাত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন,‘প্রাণিজ আমিষের চাহিদার বড় অংশ পূরণ হয় দুধ, ডিম ও মাংস থেকে।সেটা সরবরাহ হচ্ছে প্রাণিসম্পদ খাত থেকে।পাশাপাশি এ খাত গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করছে। প্রাণিসম্পদ খাত থেকে উৎপাদিত সামগ্রী দেশের উন্নয়নে যেমন ভূমিকা রাখছে,তেমনি মানুষের কল্যাণে, শারীরিক প্রয়োজনে খাবারের চাহিদা মেটাতে ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বড় ভূমিকা রাখছে।’

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন,আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বৃদ্ধি করা।এখন লক্ষ্য হচ্ছে গুণগত ও মানসম্মত উৎপাদন বৃদ্ধি করা।এ খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন গবেষণা লব্ধ তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।’

গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রাণিসম্পদ খাত সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ করে দিচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন,কখনও কখনও স্বার্থান্বেষী মহল ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশে সক্ষম হয়।এতে জাতীয় প্রতিষ্ঠান বা সেখানে যারা ভালো কাজ করেন তাদের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয় এবং ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে।তথ্যের অবাধ প্রবাহের যুগে আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করতে চাই। প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে গণমাধ্যমের অব্যাহত সহায়তা চাই। সংবাদ হোক বস্তুনিষ্ঠ।কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ইচ্ছাকৃতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য যেন সংবাদ না হয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে ও পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম,বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল,গ্লোবাল টেলিভিশনের সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ড. গোলাম রব্বানী।এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ফেলো সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইলেকট্রনিক,প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার মোট ২০ জন সাংবাদিককে ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সেরা ৩ জন, অনলাইন মিডিয়ার সেরা ৩ জন এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সেরা ৫ জন ফেলো সাংবাদিককে পুরস্কৃত করা হয়।

আরও খবর

Sponsered content