সারাদেশ

লক্ষ্মীপুরে উপজেলা-ইউপি চেয়ারম্যানের হাতাহাতি

  প্রতিনিধি ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ২:১৭:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

কমলনগর(লক্ষীপুর)প্রতিনিধি।।লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দীন আজাদ সোহেল ও ইউপি চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদারের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি জব্বার আলী সড়ক নামে একটি রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার চররমিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদার তার ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি জব্বার আলী নামক একটি রাস্তায় ৪ টন টিআর প্রকল্পের আওতায় মাটির কাজ করান।খবর পেয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা ও রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দীন আজাদ সোহেল ও তার ছোট ভাই ফরান আযাদ কোয়েল ভেকু মিশন নিয়ে নির্মাণাধীন ওই রাস্তাটি ভেঙে ফেলতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

এ সময় শ্রমিকদের কাজে বাধা দেন তারা।এ নিয়ে স্থানীয় চররমিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ঘটে।এ সময় দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। হাতাহাতির একপর্যায়ে উভয়ের গায়ের জামাও ছিঁড়ে ফেলেন তারা।

খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ফরান আযাদ কোয়েলের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদারের ৬ কর্মীকে মারধর করেন।এ সময় উভয়পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠলে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ ব্যাপারে চররমিজ ইউপি চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদার বলেন,রাস্তার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাই কোয়েল দলবলসহ ভেকু মেশিন নিয়ে রাস্তাটি ভেঙে ফেলতে আসলে আমি কারণ জিজ্ঞাসা করলেই তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়।

রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দীন আজাদ সোহেলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন,দুজনই জনপ্রতিনিধি।এগুলো একেবারে উচিত নয়; তবু আমি উভয়ের সঙ্গে কথা বলব।

আরও খবর

Sponsered content