প্রতিনিধি ১২ মার্চ ২০২৪ , ৫:২০:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন,পেঁয়াজ আমদানির জন্য ভারত থেকে অনুমোদন পেয়েছি।এখন দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
দুয়েকদিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদনের বিষয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,পেঁয়াজের শুল্ক বাংলাদেশের জন্য ৮০০ ডলার,আর যুক্তরাজ্যের জন্য এক হাজার ২০০ ডলার। আমাদের সিনিয়র সেক্রেটারি গত তিনদিন ধরে দাম কমাতে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন,আলোচনা করছেন।
দুয়েকদিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
তিনি বলেন,আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বাধাগুলো আমি চাইলেই সবকিছু নিরসন করতে পারি না।
তবে আমাদের উদ্যোগ,চেষ্টা ও এর সফলতা আছে।পেঁয়াজ রফতানিতে মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে ভারত, তারপরেও তারা রাজি হয়েছে।সামনের তাদের দেশে নির্বাচন, সেটাও দেখতে হবে।তাদের ভোক্তা বাজার আছে,সেটা মাথায় রাখতে হবে।সবকিছু বিবেচনা করে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের অনুমোদন আমরা পেয়েছি।হয় আমরা সরকারিভাবে জি টু জি আনব,অথবা আমাদের আমদানিকারকদের অনুমোদন দেব। যত দ্রুত সম্ভব বাজারে যাতে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টা করব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে আমাদের কথা বলার দরকার নেই।এটা যার যার বিষয়। যে যেটা দিয়ে ইচ্ছা ইফতার করবেন।কিছু খেজুরের শুল্ক কমানো হয়েছে।আমরা উঁচু জাতের দামি খেজুরের শুল্ক কমাইনি। সাধারণ মানুষ যেটা খায়, সেটার দাম কমাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিনি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন,খোলা বাজারের চিনির সর্বোচ্চ মূল্য ১৪০ টাকার বেশি হবে না।তারা আমাদের কথা দিয়েছে, তাদের যথেষ্ট মজুত আছে।প্যাকেটজাত চিনির দামও ১৪৫ থেকে ১৪৬ টাকার বেশি হবে না।সেটা আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি। রমজানে চিনির দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন,ভারতের সঙ্গেও আমাদের কথা চলছে।সেখানেও অগ্রগতি হতে পারে। দাম সবজায়গায়ই বেশি।আমি যখন ডলারে কনভার্ট করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও চিনি আমদানি করি তাহলে দাম কম পড়বে না।পাঁচ টাকা হয়ত এদিক-ওদিক হবে।আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ঊর্ধ্বমুখী। আমরা চাচ্ছি, চিনির দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে। যে দাম আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছে, রোজা মাসে চিনির দাম একই থাকবে।