জাতীয়

পাতাল রেলের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেছেন-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  প্রতিনিধি ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১:৫৯:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টরে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ এর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালুর এক মাসের মাথায় শুরু হল দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন করে দেবে জাপান।প্রধানমন্ত্রী যখন জাপান সফরে যাবেন তখন এটি চূড়ান্ত হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এবং মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী উপস্থিত ছিলেন এ সময়।

৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এই পাতাল মেট্রেরেল রূপগঞ্জের পীতলগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে জোয়ারসাহারার নতুনবাজারে যুক্ত হবে কমলাপুর-বিমানবন্দর মেট্রোরেল রুটের সঙ্গে।

বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল মাটির নিচ দিয়ে যাবে।তবে পীতলগঞ্জ থেকে নতুনবাজার পর্যন্ত এ মেট্রো লাইন হবে এলিভেটেড; ৩০০ ফুট সড়কের ওপর দিয়ে যাবে এ রেললাইন।

পাতালরেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন উপলক্ষে পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টরে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে সমবেত হন অনুষ্ঠানস্থলে।

নেতাকর্মীরা রঙিন টি-শার্ট পরে ঢাকঢোল বাজিয়ে সুধী সমাবেশে যোগ দিতে এলে পুরো এলাকাজুড়ে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়।

সুধী সমাবেশের জন্য বিশাল এলাকাজুড়ে তৈরি করা হয় মঞ্চ।পূর্বাচল-রূপগঞ্জ এলাকার সড়ক সাজানো হয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে।

দেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান,মেট্রোরেলের লাইন-১ এর ডিপো নির্মাণ হবে নারায়ণগঞ্জ জেলার পিতলগঞ্জে।এ কাজের জন্য জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে ডিএমটিসিএল।পুরো প্রকল্পটির কাজ ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে।

এরমধ্যে প্যাকেজে সিপি-১ এর আওতায় ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়ন করার কাজ শুরু হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর।যেখানে ডিপো নির্মাণ করা হবে সেখানে অনেক উঁচু নিচু জায়গা আছে।সেগুলো ভরাট করার কাজ শুরু হবে।তারপর সেখানেই ডিপো নির্মাণ করা হবে।

এমআরটি লাইন-১ হিসেবে চিহ্নিত এ প্রকল্পে বিমানবন্দর থেকে কুড়িল,বাড্ডা,রামপুরা হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটারের পুরো অংশ হবে ভূগর্ভে। এ অংশে থাকবে মোট ১২টি স্টেশন।

অন্য অংশ হবে এলিভেটেড;সেই অংশ নতুন বাজার থেকে কুড়িল হয়ে যাবে পূর্বাচলে।১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটারের এ অংশে থাকবে মোট নয়টি স্টেশন।

পাতাল ও উড়াল মিলে মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ ২০২৬ সাল নাগাদ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।

উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে দেশের প্রথম মেট্রোরেল গত ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ লাখের বেশি যাত্রী পরিবহন করে মেট্রেরেল আয় করেছে প্রায় আড়াই ২ কোটি টাকা।

আরও খবর

Sponsered content