আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুাব

  প্রতিনিধি ১৮ মে ২০২৩ , ৫:০৭:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল ও সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে একটি ফাইল তৈরির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অনুমোদন পাওয়া প্রস্তাব অনুসারে, প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য সমমনা বিচারপতির ‘অসদাচরণের’ বিষয়টি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে জানাতে অভিযোগ প্রস্তুত ও দায়েরে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে।

সম্প্রতি একটি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে দেওয়া জামিন নিয়ে ক্ষমতাসীন জোটের অসন্তোষের মধ্যেই সোমবার (১৫ মে) প্রস্তাবটি পাস হয়।

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশনের শুরুতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ গত ৯ মে পিটিআই প্রধানকে গ্রেপ্তার এবং সুপ্রিম কোর্টের ‘নজিরবিহীন’ হস্তক্ষেপে জামিন ঘিরে সংঘটিত ঘটনাগুলো নিয়ে বিতর্ক করার সুযোগ চেয়ে অধিবেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থগিত রাখতে স্পিকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ক্ষমতাসীন জোটের সদস্যরা প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালকে ‘পিটিআইয়ের এজেন্ট’ আখ্যা দেন।বিশেষ করে আদালতে পিটিআই প্রধানকে স্বাগত জানিয়ে এবং তাঁকে রাতে থাকার জন্য গেস্টহাউসে পাঠানোর সময় ‘শুভকামনা’ জানানোর জন্য প্রধান বিচারপতির কড়া সমালোচনা করেন ক্ষমতাসীন পার্লামেন্ট সদস্যরা।

সোমবার পাকিস্তান পার্লামেন্টের অধিবেশনে গত সপ্তাহে ইমরান সমর্থক বিক্ষোভকারীদের চালানো সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে সামরিক স্থাপনায় হামলার জন্য পিটিআই নেতৃত্বকে দায়ী করে দুটি প্রস্তাবও পাস হয়।

জামিনের মাধ্যমে ইমরান খানকে সব ধরনের মামলা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার অভিযোগে অধিবেশনে প্রধান বিচারপতির কড়া সমালোচনা করে বক্তব্য দেন কয়েকজন মন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন জোটের পার্লামেন্ট সদস্যরা।এরপর সংবিধানের ২০৯ অনুচ্ছেদের অধীনে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে অভিযোগ দায়েরে কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নির্বাচিত সদস্য শাজিয়া সোবিয়া সুমরো।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে পৃথক মামলার শুনানিতে অংশ নিতে রাজধানী ইসলামাবাদের হাইকোর্টে গিয়েছিলেন ইমরান খান। হাইকোর্ট চত্বর থেকে তাঁকে আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জারসের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি। পরে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে জামিনে মুক্তি পান তিনি।

আরও খবর

Sponsered content