সারাদেশ

পটুয়াখালী জেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৭৯ হাজার

  প্রতিনিধি ১৬ অক্টোবর ২০২২ , ২:২২:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার লক্ষ্যে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। বঙ্গপসাগর ও নদীর মাছকে ঘিরেই উপকূলীয় জেলেদের জীবন ও জীবিকার চাকা ঘুরে। বৈরি আবহাওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই টানা ২২ দিনের অবরদে জেলে পল্লি­গুলোতে চলছে হাহাকার। উপকূলের জেলে পরিবারগুলো দাদনের ঋনের বোঝা অভাব-অনটন আর চরম হতাশার মধ্যে দিন পাড় করছে। অনিবন্ধত জেলেদের নিবন্ধনের আওতায় আনার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি। অন্যদিকে বৈরি আবহাওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় উপকূলীয় জেলেদের চরম দূর্দিন যাচ্ছে। এ যেন মরার উপরে খরার ঘা। প্রতিটি মূহুর্তই যেন হতাশার মধ্যে কাটছে। সংসারের ব্যয়ভার বহন ও মহাজনের কাছ থেকে নেয়া দাদনের ঋনের টাকা শোধ নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপক‚লীয় এলাকার শত শত জেলে পরিবার। সাগর ও নদীতে মাছ শিকারি জেলেদের মধ্যে ২ তৃতাংশ জেলেই রয়ে গেছে নিবন্ধনের বাইরে। জার ফলে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময় জেলে প্রনদনা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে তারা। দাদনের বোঝা থেকে বেড়িয়ে আসতে জেলেদের কল্যানে ব্যাংক লোন সিস্টেম চালু করার দাবী তাদের।

কোড়ালিয়ার জেলে হারুন মিয়া বলেন, আমরা বছরে ভালো ভাবে সাগরে ঠিকভাবে মাছ ধরতে পারিনা। বারবার অবরদ দিলে আমরা কিভাবে চলবো। সরকার যদি প্রনদনার চালের সাথে নগদ অর্থ বরাদ্ধ নাদেয় তাহলে আমরা চলতে পাড়বোনা।

বাহেরচর গ্রামের জেলে জসিম কাজী বলেন, বারবার অবরদ দেয়ার কারনে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। দাদনের ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে আমি জেলে পেশা ছেড়ে দিয়েছি। এখন বাড়িতে বেকার সময় পাড় করছি।

মহিপুর মৎস বন্দর জেলে মালিক সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, সামান্য চালে জেলেদের হয়না। চালের পাশাপাশি নগদ অর্থ বরাদ্ধ দেয়ার দাবি আমাদের। অন্যথায় জেলেদের বানবেতর জীবন জাপন করতে হয়।

জেলা মৎস কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, সাগরে মাছ শিকারি জেলেদের মধ্যে অনিবন্ধিত জেলেদের দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। এবং নিবন্ধিত সকল জেলেকে প্রনদনা দেয়া হবে।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিস বিভাগের চেয়ারম্যান গবেষক,মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, সকল জেলেদের নিবন্ধনের আওতায় আনা ও প্রনদনার বরাদ্ধ বাড়ানো উচিত। চালের পাশাপাশি নগদ অর্থ বরাদ্ধ দেয়ার বিষয়ও ভাবা উচিত।

দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলে তালিকা হালনাগাদ করে নিবন্ধনের বাইরে থাকা প্রকৃত জেলেদের নিবন্ধনের আওতায় আনার দাবী উপকূল বাসীর।

জেলা মৎস বিভাগের তথ্য মতে পটুয়াখালী জেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৭৯ হাজার। নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে ১ লাখেরও বেশী জেলে।

আরও খবর

Sponsered content