সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।।সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় নারীসহ দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি।পুলিশের রাবার বুলেটেই বেশিরভাগ আহত হয়েছেন।
প্রতিনিধি ১০ জানুয়ারি ২০২৪ , ১:৪৯:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।।সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় নারীসহ দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি।পুলিশের রাবার বুলেটেই বেশিরভাগ আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পূর্ব মাছিমপুর ও নৈনগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।তবে পরিস্থিতি এখন থমথমে।ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,ভোটের দিন পূর্ব মাছিমপুর ও পশ্চিম মাছিমপুরবাসীর নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।ওই সংঘর্ষের জেরে গত দুই দিন ধরে উপজেলা সদরে দুপক্ষের উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তারা আরও জানান,মঙ্গলবার রাতে পূর্ব মাছিমপুরের আমরু মিয়ার ছেলে ঈগল মার্কার সমর্থক শামীম আহমদের সঙ্গে পাশের নৈনগাঁও গ্রামের নৌকার সমর্থক আবুল হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়।এর জের ধরে আবুল হোসেনের সমর্থকরা শামীম আহমদের পূর্ব মাছিমপুরের বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ে।পুলিশ রাতে পরিস্থিতি শান্ত করে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়।সকালে আবুল হোসেনের দোয়ারাবাজারের বাসভবনে গিয়ে শামীম আহমদের লোকজন হামলা চালায়।এ ঘটনার খবর নৈনগাঁও গ্রামে পৌঁছালে আবুল হোসেনের পক্ষের নৈনগাঁও গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা সদরে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।এক পর্যায়ে নৈনগাঁও ও পূর্ব মাছিমপুর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।পুলিশ এসে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।সংঘর্ষে উভয়পক্ষের দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ বলেন, ‘ভোট-পরবর্তী সহিংসতার জেরে বুধবার দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে রাবার বুলেট ছুড়েছে।কত রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে হিসেব করা হয়নি। গ্রেপ্তার অভিযান চলছে; কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছেন, তবে কতজন তা পরে জানানো হবে।’