ধরলা অববাহিকায় অন্তত ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ দ্বিতীয় দফায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-কুড়িগ্রামে আর এক দফা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ২০ হাজার মানুষ। প্রথম দফা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দ্বিতীয় দফায় বন্যার কবলে পড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসিদের।

এসব এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকায় ভেঙে পড়েছে যাতায়াত ব্যবস্থা। দুই দফা বন্যার কবলে পড়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষক।

সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চর সবুজপাড়া এলাকার আমজাদ হোসেন জানান, প্রথম দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি এখনো মেরামত করতে পারিনি। এরই মধ্যে আবারও ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘরবাড়িতে প্রবেশ করেছে। খুব সমস্যায় আছি।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ারচরের সহরত আলী জানান, গত বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ চরের মানুষ। প্রতিটি বাড়ির ঘরের চাল পর্যন্ত পানি উঠেছিল। পানি নেমে যাওয়ার তিন/চারদিনের মাথায় আবার পানিতে ভাসছি। সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নেই ধরলা অববাহিকায় অন্তত ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ দ্বিতীয় দফায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

পার্শ্ববর্তী পাঁচগাছী ও হলোখানা ইউনিয়নসহ ধরলা ও দুধকুমার অববাহিকার ইউনিয়নগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব এলাকায় অন্তত ২০ হাজার মানুষ নতুন করে বন্যাকবলিত।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, উজানে ভারি বৃষ্টির ফলে কুড়িগ্রামে ধরলা ও দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।