প্রতিনিধি ৬ অক্টোবর ২০২২ , ২:১৫:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি।।ডিসেম্বরেই রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং ভোট সুষ্ঠু করতে সব কেন্দ্রে থাকবে ইভিএম, বসানো হবে সিসি ক্যামেরা। এমনটাই জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীব খান।
রংপুরের বাসিন্দারা বলছেন, ১০ বছর ধরে সিটি কর্পোরেশন হলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নয়ন হয়নি। যানজট সমস্যা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ বেশিরভাগ খাতে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া।
এদিকে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই উত্তাপ বাড়ছে ভোটারদের মাঝে। দিনরাত গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ভোটারদের মন জয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন নগরীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। জাতীয় পার্টি থেকে ইতোমধ্যেই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বর্তমান মেয়র মোস্তাফাকে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও চষে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন ওয়ার্ডে। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। ভোটাররা বলছেন, উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে পারবেন এমন প্রার্থীকেই মেয়র ও কাউন্সিলর হিসেবে বেছে নিতে চান তারা।
সচেতন নাগরিকরা বলছেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ দশ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। কিন্তু সাবেক পৌরসভার চেয়ে প্রায় চারগুণ এলাকা নিয়ে নতুন সিটি কর্পোরেশন গড়ে উঠলেও বিন্দুমাত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বর্ধিত এলাকাগুলোতে। ভোটের আগে সবাই উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি প্রধান দলের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় আরো বেশি সরব হয়ে উঠেছেন। ইতোমধ্যে পাড়া মহল্লায় রঙিন পোষ্টার ব্যানারে ছেয়ে গেছে। সব দলেরই একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও সবাই বলছেন কেন্দ্র থেকে যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষেই কাজ করবেন তারা।
বিভিন্ন বর্ধিত ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ড্রেনেজ ও পয়:নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা ও ময়লা-আবর্জনা আটকে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। নানা নাগরিক সমস্যার মাঝে বসবাস করছে সাধারণ মানুষেরা। অনেকটা অভিযোগের সুরে বলেন, কাউন্সিলররা আসে, বলে এবং চলে যায়। আমাদের সমস্যাগুলে শোনার মতো সময় খুব কম কাউন্সিলরদের হাতে থাকে। আমরা এবার পরিবর্তন আনবো কারণ আমরা নানাদিক থেকে অবহেলিত। যারা আমাদের জন্য কাজ করবে, আমাদের পাশে থাকবে আমরা তাদেরকেই এবার চেয়ারে বসাবো। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো উন্নয়নের আশ্বাস দিচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।