অপরাধ-আইন-আদালত

জেসমিনের আর্থিক লেনদেনের প্রমাণপত্রে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিল্টন চন্দ্র

  প্রতিনিধি ৭ জুন ২০২৩ , ৪:৩৫:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

নওগাঁ প্রতিনিধি।।র‌্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া নওগাঁ ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক সুলতানা জেসমিনের আর্থিক লেনদেনের প্রমাণপত্রে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়ের নাম পাওয়া গেছে।

সুলতানার হাতে লেখা প্রমাণপত্রগুলো তার স্বজনেরা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির হাতে তুলে দিয়েছেন।

৪৬ পাতা প্রমাণপত্রের মধ্যে একটিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের একটি নম্বর,অঙ্কে ও কথায় লেখা ৫০ হাজার টাকা,চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি ও এডিসি মিল্টনের নাম লেখা আছে। সবই সুলতানার হাতে লেখা বলে তার স্বজনেরা দাবি করেছেন।

জেসমিনের মামা নাজমূল হক মন্টু বলেন,নওগাঁ শহরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো তার ভাগনি।সম্প্রতি সেই বাসা থেকে আসবাবপত্র সরিয়ে নিতে গিয়ে আর্থিক লেনদেনের ৪৬ পাতার পত্রগুলো পাওয়া যায়।

সেই পত্রগুলোতে দেখা যায়-মৃত্যুর আগে সম্প্রতি জেসমিন বেশ কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে টাকা পাঠানো কথা লিখে রেখেছিল।প্রমাণপত্রগুলো হাইকোর্টের নির্দেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এসব প্রমাণপত্রের সূত্র ধরে অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এনামুল হকের দায়ের করা মামলা ও মৃত্যুর ঘটনার অনেক রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদী মন্টু।

জেসমিনের মৃত্যু ও তার বিরুদ্ধে এনামুল হকের দায়ের করা মামলার বিষয়টি তদন্ত করছে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি। নওগাঁ সার্কিট হাউসে সুলতানার স্বজনদের জবানবন্দি রেকর্ড করেছে তদন্ত কমিটি।

এই কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের বলেন,খুঁটিনাটি সংশ্লিষ্ট সব বিষয়কেই প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত করছেন তারা।নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জেসমিনের আর্থিক লেনদেনের প্রমাণপত্রে নাম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে এডিসি মিল্টন চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।

জেসমিনকে তিনি চিনতেন না বলে দাবি করেন।জেসমিনের সঙ্গে তার পরিবারের কারও কোনো সম্পর্ক ছিল না বলেও দাবি করেন এডিসি মিল্টন।

আরও খবর

Sponsered content