সারাদেশ

খেলার মাঠে মেলা কেন ? অনুমতি নিয়েছে ১৫দিন,

  প্রতিনিধি ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৬:২৪:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি।।ঝালকাঠি শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে দীর্ঘমেয়াদী “রুপসীবাংলা” মেলা। শতাধিক ষ্টল এবং ১০ টির অধিক প্যাভিলিয়ন রয়েছে এখানে। খেলার মাঠে মেলার আয়োজন।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে খেলা প্রেমীরা তারা আরো জানিয়েছেন স্বপ্নের এই ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠে টাকার বিনিময় খেলার মাঠ কে নষ্ট করে সস্তা পণ্যের মেলার মাঠ করে দেওয়া হয়েছে,এবং ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পুরাতন পণ্য লাইটিং এর মাধ্যমে চকচকা করে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষকে ধোকা রয়েছে এককভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চটপটি ফুসকা হালিমের দোকান, ক্রেতাও ঘুরতে আসা সাধারণ মানুষ হচ্ছেন হারানের শিকার।
কতদিন চলবে এই রিজেক্ট পূন্য মেলা তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।

মেলা সংশ্লিষ্ট অনেকেই জানিয়েছেন, কবি জীবনানন্দ দাশে’র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী এই মেলা হওয়ার কথা থাকলেও মেলার দোকান মালিক এবং পরিচালনা কমিটির ব্যবসার দিক বিবেচনায় এনে খেলার মাঠ বরাদ্দ দিয়ে ১৫ দিনের অনুমতি দিয়েছেন, ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন।

তবে জেলা প্রশাসকের দেয়া অনুমতিকে তোয়াক্কা না করে মাসব্যাপী এই মেলা চলবে বলে ঘোষনা দিয়েছেন মেলা পরিচালনা কতৃপক্ষ মেসার্স চামেলী ট্রেডার্স এর মালিক রাসেল , কে এই রাসেল , জানতে চায় ঝালকাঠি সর্বস্তরে জনগণ।

ঝালকাঠি শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামে বিভিন্ন বয়সী খেলোয়ারদের নিয়মিত অনুশীলন বন্ধ হয় গত ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার। ঐ দিন দুপুরে মেলার মাঠ প্রস্তুতের কাজ শুরু করা হয়। আর তাই মেলা শুরুর ১৫ দিন আগেই এখানে খেলাধুলা বন্ধ হয়েযায়। কর্তৃপক্ষের ঘোষনা অনুযায়ী মেলার কার্যক্রম যদি একমাস ধরে চলতে থাকে তাহলে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ থাকবে। আর তাই এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

এ মাঠে নিয়মিত অনুশীলন করা ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলোয়াররা বলেছেন ‘মেলার পর মাঠের পরিনতি হবে ভয়াবহ। কারন ধাড়ালো লোহার পেরেক, বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দোকানের ময়লা আবর্জনা, ও বস্তু, কাঁচ ভাঙ্গা , প্যাভিলিয়ন ও ষ্টল নির্মান কাজের বাঁশের কঞ্চি,সহ বিভিন্ন ধরনের শক্ত বস্তু মাঠে পরে থাকবে। যা থেকে খেলোয়াররা রক্তাক্ত আহত হবে।

মেলা পরিচালক খুলনার চামেলী ট্রেডার্স এর সত্বাধীকারী মোঃরাসেল বলেন, ‘মেলা চালানোর জন্য প্রাথমিক ভাবে ১৫ দিনে অনুমতি নিয়েছি, এই মেয়াদ শেষ হওয়ার মধ্যেই আরো ১৫ দিন সময় বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে খেলোয়ারদের দিক বিবেচনা করে মেলার সময় বৃদ্ধি যাতে না করাহয় জেলা প্রশাসকের প্রতি সেই দাবী তুলেছেন ক্রীড়ামোদীরা।

ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আল মামুন খান ধলু বলেন, ‘আমি যেটুকু জানি তাহলো মেলা কর্তৃপক্ষ এই মাঠটি আগামী ১৫ দিন পর খালী করে দিবে।

তবে মাঠে খেলাধুলার জন্য উপযোগী হবে না। পুরো মাঠের মাটি চালনি দিয়ে চেলে খেলাধূলার উপযোগী করতে হবে। আর যদি মাসব্যাপী মেলা চলে তাহলে মাঠের অবস্থা হবে করুন এবং ভয়াবহ খেলাধুলার মাঝে আহত হবেন খেলা প্রেমীরা।

ঝালকাঠি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মনিরুল ইসলাম তালুকদার মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যেহেতু সামনে রমজানের ঈদ রয়েছে সেখানে মেলার সময় বৃদ্ধি হলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুক্ষিন হবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে আমাদের দাবি যাহাতে এ মেলার সময়সূচী আর যেন বাড়ানো না হয়।

আরও খবর

Sponsered content