Uncategorized

কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ মহাসড়কের হোটেলের অন্তরালে চলছে মাদকও অসামাজিক কর্মকাণ্ড!

  প্রতিনিধি ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২:০৫:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

কুষ্টিয়া অফিস।। কুষ্টিয়া – ঝিনাইদহ মহাসড়কের বিত্তিপাড়া ১১ মাইল মহিষাডাঙ্গায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না করেই মহাসড়ক ঘেঁষে গড়ে উঠেছে খাবার হোটেল।
আর হোটেল গুলোতে চলছে রমরমা মাদক সেবন ও অসামাজিক কার্যকলাপ।

মহাসড়কের পাশ ঘেষে গড়ে উঠা প্রায় ২০ থেকে ৩০ টা খাবার হোটেল আছে। ফসলি জমির উপর গড়ে উঠা এসব হোটেল গুলোতে প্রায় দিনে রাতে মাদক ও দেহব্যবসা হয় বলে সুত্রে জানা যায়।

মহাসড়কের বিত্তিপাড়া থেকে লক্ষিপুর এর মাঝামাঝি মহিষাডাঙ্গা গ্রামে আবদুল্লার হোটেল নিয়মিত মাদক বিক্রি ও বিভিন্ন বয়সের মেয়েদের দিয়ে করানো হচ্ছে দেহব্যবসা।

বিভিন্ন এলাকা হতে আগত ছোট বড় অনেক ধরনের মেয়ে আবদুল্লার হোটেল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসে এই অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে বলে জানান এলাকাবাসী।

এতে করে উঠতি বয়সি ছেলেদের আনাগোনা বেড়েছে ওই হোটেল এলাকায় বেড়েছে মাদক ব্যবসা ও চুরি ছিনতাই সহ বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ।

মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকসহ অসংখ্য পরিবহন। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

আইন মোতাবেক মহাসড়কের উভয় পাশের ১০ মিটারের মধ্যে কোনো স্থায়ী বা অস্থায়ী স্থাপনা, হাট, বাজার, দোকান ইত্যাদি নির্মাণ বা গাড়ী পার্কিং করা যাবে না।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মহিষাডাঙ্গা মোড়ে মহাসড়কের সাথে হোটেল গড়ে উঠেছে । হোটেল গুলোর
নিজস্ব পার্কিং-ব্যবস্থা নেই। নানা প্রান্ত থেকে আসা বিভিন্ন পন্য বহনকারী ছোট বড় ট্রাক, সহ বিভিন্ন পরিবহন হোটেলটির সামনে রাখা হয়। এতে মহাসড়কটির জায়গা সঙ্কুুচিত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দিন ধরে ওই হোটেলটি ব্যবসা চালিয়ে গেলেও গাড়ি পার্কিংয়ের কোনো ব্যবস্থা রাখেনি। স্থানীয় লোকজন বলেন,দূরপাল্লার ট্রাক গুলো মহাসড়কের নির্দিষ্ট ফাঁকা জায়গায় থামে; কিন্তু ওই হোটেলে খেতে আসা ক্রেতাদের এলোমেলো গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে জায়গাটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এমনকি রাতের আধারে মাদক বিক্রি সহ অনেক হোটেলে দেহব‍্যবসা করানো হচ্ছে।এই ধরনের অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মাসের পর মাস । এসব হোটেলে প্রতিদিন যৌন কর্মী বিকেল থেকে ভোররাত পর্যন্ত গ্রুপ ভাগ করে এবং রাতের বেলায় আবারও অন্য গ্রুপ এসে পরের দিন সকাল পর্যন্ত দেহব্যবসা করে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়।

এই নিয়ে কিছু হোটেল মালিককে প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন জায়গার সঙ্কট আছে। তবে বাস-ট্রাক থামায় কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। দেহব‍্যবসা এই রকম কোন কাজ হয় না তবে যদি কেউ করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব‍্যবস্থা গ্রহন করা হোক ।

আরও খবর

Sponsered content