বিনোদন

এফডিসিতে নিরাপত্তার কড়াকড়িতে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন ভোট দিতে আসা শিল্পীরা!

  প্রতিনিধি ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৩:২৪:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এফডিসিতে নিরাপত্তার কড়াকড়িতে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন ভোট দিতে আসা শিল্পীরা।

দুই বছরের জন্য সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সমিসতির কার্যারয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট দিতে সকাল থেকেই আসতে থাকনে ভোটাররা।

পরিবেশ ঠিক রাখতে ও সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে পুরো এফডিসিজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।সমিতির সদস্য,শিল্পী ও কলাকুশলী পরিচয়পত্র এবং সাংবাদিকদের এফডিসিতে ঢোকার পাস পরীক্ষা করে তবেই ঢুকতে দেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এদিন মূল ফটক থেকে এফডিসির বিভিন্ন জায়গায় প্রায় আড়াইশ পুলিশ সদস্য ও সাদা পোশাকে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

নিরাপত্তার স্বার্থে এফডিসির বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি ৩১টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।এছাড়া এই প্রথম নির্বাচনে আচরণবিধি রক্ষায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভাম্যমাণ আদালতও দায়িত্ব পালন করছে।

নিরাপত্তার এমন কড়াকড়িতে সাধারণ শিল্পীরা ক্ষোভ ঝারলেও কেউ কেউ একে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

নির্বাচনে অংশ নেওয়া মিশা-ডিপজল প্যানেলের সহসভাপতি পদপ্রার্থী অভিনেতা মাসুম পারভেজ রুবেল বলেন,নির্বাচন নিয়ে আমাদের মধ্যে বিরোধ থাকতে পারে।তবে আমি মনে করি তা মাত্র ৫-৭ দিনের মত।এরপর তো আবার আমরা এক।নব্বই সাল থেকে নির্বাচন করি,এভাবে প্রশাসনের পাহারায় নির্বাচন দেখিনি।আমরা সবাই আনন্দ করতে করতেই ভোট দিয়েছি,চেয়েছি।”

পরিচয়পত্র পরীক্ষার বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, “নায়ক আলমগীর বা উজ্জ্বলের মত লোককে যদি আইডি কার্ড শো করে ঢোকা লাগে,তাহলে তো দুঃখকজনক।এটা খুব খারাপ।এভাবে কার্ড চেক করে ঢোকানো নিজেদেরকে অপমান করা।”

একইভাবে অভিযোগ করেন সমিতির সদস্য অভিনেতা হাসান জাহাঙ্গীর।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তার কাড়াকড়িতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিত্রনায়ক মাসুম পারভেজ রুবেল।
তিনি বলেন,“এফডিসিতে নিরাপত্তা দরকার আছে তবে, এতটা দরকার নেই। ভোটারের চেয়ে প্রশাসন বেশি।এত প্রশাসন দরকার নেই তো।

“শিল্পী সমিতির নির্বাচন হচ্ছে মিলনমেলা।দুই বছর পরপর ভোটের দিন উৎসবে মেতে উঠেন শিল্পীরা।কিন্তু এফডিসিতে এসে এসব কী দেখছি? এখানে তো সন্ত্রাসী নেই,এত প্রশাসন থাকবে কেন?”

তবে নিরাপত্তার কড়াকড়ি নিয়ে শিল্পীদের অভিযোগ থাকলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু রাখতেই এই কড়াকড়ি।

তিনি বলেন,“সকাল থেকে প্রায় এক দেড়শ ভোট পড়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হচ্ছে।আমরা আশা করছি সব বিতর্কের উর্ধ্বে গিয়ে নিরপেক্ষ একটা নির্বাচন উপহার দিতে পারব।

“শিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিবার তাদের নিয়েই আনন্দ করছি, ভোটগ্রহণ করছি।নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নিরাপত্তা কড়াকড়ি করা হয়েছে।”

‘ডিপজলের জবাব পেয়েছি,পর্যালোচনা করে মতামত’

এদিকে মিশা-ডিপজল প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোনায়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে ভোটারদের মধ্যে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে যে নোটিস দেওয়া হয়েছিল,তার জবাব পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু।

তিনি বলেন,আমরা তাকে চিঠি দিয়েছি,ব্যাখ্যা চেয়েছি।তিনি উত্তর দিয়েছেন।আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করে ওইটা পরীক্ষা করে মতামত দিব।”

ভোটের এক দিন আগে বৃহস্পতিবার ডিপজলের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন মাহমুদ কলি-নিপুণ আক্তার পরিষদের সদস্য পদপ্রার্থী সাদিয়া মির্জা।

অভিযোগের সঙ্গে দ্বিবার্ষিক এ নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরুর কাছে প্রমাণ হিসেবে পেনড্রাইভে করে একটি ভিডিও সরবরাহ করেছেন অভিযোগকারী।

পরে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়ে ছয় ঘণ্টার তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

তবে ভোটের জন্য টাকা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ডিপজল বলেছেন,বিষয়টি তিনি জানেন না।তার দাবি,এটা ’মিথ্যা ও বানোয়াট’ অভিযোগ।

এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরুর সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান।

আরও খবর

Sponsered content