চাকরির খবর

কুয়েতে অদক্ষ শ্রমিক পাঠানোর তাগিদ দিলেন প্রবাসীরা

  প্রতিনিধি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৫:৩৬:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।কুয়েতে মোট শ্রমবাজারের অর্ধেকই নিয়ন্ত্রণ করে ভারতীয় ও মিশরীয়রা,বাংলাদেশ রয়েছে চতুর্থ স্থানে।শ্রমবাজার বৃদ্ধি করতে দক্ষ জনশক্তি রফতানির পাশাপাশি বেশি করে অদক্ষ শ্রমিক পাঠানো প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রবাসীরা।

কুয়েতে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য অনুসারে,ভারতীয় এবং মিশরীয় প্রবাসীরা কুয়েতের শ্রম বাজারের অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে,যেখানে স্থানীয় নাগরিকরা তাদের নিজ দেশে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। এমন তথ্য প্রকাশ করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা পরিসংখ্যানটিতে বলা হয়েছে দেশটিতে স্থানীয় নাগরিক ও প্রবাসীরা সরকারি এবং বেসরকারি খাতে মোট ১৯,৭৭,০১৯ জন কর্মী বিভিন্ন পেশায় কর্মরত আছে।যার মধ্যে ৪,৭৬,৩৩৫ জন ভারতীয় মোট শ্রমবাজারের ২৪.১% এবং ৪,৬৭,০৭৪ জন মিশরীয় মোট শ্রমবাজারের ২৩.৬% শতাংশ দখল করে আছে।মোট ৪,৩৮,৮০৩ জন বা ২২.২% শ্রমবাজারের কুয়েতিরা নিজ দেশে শ্রমবাজারের তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

দেশটির জনসংখ্যা এবং শ্রমবাজার সূচক সর্বশেষ তথ্যমতে কুয়েতে বর্তমানে প্রায় আড়াই লাখের মতো বাংলাদেশি আছে। এর মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি খাতে কর্মরত আছেন বাংলাদেশের মোট ১,৫৮,৯১১ জন প্রবাসী কর্মী।উভয় খাতে শ্রম বাজারের শতকরা হিসেবে সরকারি খাতের ২ শতাংশ এবং বেসরকারি খাতের ১১ শতাংশ নিয়ে শ্রমবাজারের চতুর্থ স্থানে বাংলাদেশ।

এ ছাড়া পঞ্চম স্থানে পাকিস্তান,ষষ্ঠ স্থানে ফিলিপাইন,সপ্তম সিরিয়া,অষ্টম নেপাল,নবম জর্ডান,দশম স্থানে লেবানন। দেশটিতে বর্তমানে মোট ৮,৬৩,০৮৯ জন ভারতীয় ও ৬,১০,৮৬০ জন মিশরীয় রয়েছে।বাংলাদেশ থেকে বেশি করে দক্ষ জনশক্তি আসলে তারা কুয়েতিদের সঙ্গে কাজ করলে বাংলাদেশের ভালো দিকগুলো তুলে ধরলে কুয়েতে দেশের সুনাম বৃদ্ধিসহ শ্রমবাজারেও প্রভাব বিস্তার করা যাবে বলে মনে করেন অনেকে।তারা বলেন,অদক্ষ শ্রমিক আসলে এখানে কাজ করলে দক্ষ হয়ে যাবে।এখানে কাজ করে পরিচিতি তুলে ধরতে হবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশি কর্মীদেরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে কুয়েতে।কিন্তু চাহিদামতো দক্ষ কর্মী পাচ্ছে না। কুয়েতে বর্তমানে অনেক প্রবাসী আছেন যারা একসময় অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে কুয়েতে এসে আজ নিজ মেধায় প্রতিষ্ঠিত। অনেক প্রবাসী মনে করেন দক্ষ জনশক্তির পাশাপাশি অদক্ষ জনশক্তির দিকেও নজর রাখতে হবে।তারা বলেন,এখানে আমাদের সুনাম আছে। অদক্ষ শ্রমিক আসলেও সমস্যা হবে না।

পোশাক খাতের পরপরই দেশের জিডিপিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের।বিদেশে শ্রমবাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি যা দেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান রেমিট্যান্স আয় অব্যাহত রাখতে বিদেশে কর্মরত দক্ষ প্রবাসীদের কাজে লাগানোসহ নতুন অদক্ষ এবং অপ্রশিক্ষিত শ্রমিক প্রেরণ অব্যাহত রাখতে হবে বলে মনে করেন বিজ্ঞ প্রবাসীরা।

আরও খবর

Sponsered content