কাটাখালীর শাহজাহানসহ মোট ৪ ব্যক্তির সাথে বিয়ে হয়েছিলো

পুঠিয়া(রাজশাহী)প্রতিনিধি।।রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নে সম্প্রতি হাবিব নামে এক যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করতে দেখা যায় এক নারীকে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদও প্রচার হয়৷

কিন্ত এ ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন হাবিব ও তার পরিবার৷ ইতোমধ্যে ঐ নারীর সাথে হাবিবের বিয়ের রেজিস্ট্রি বাতিল চেয়ে আদালতে আবেদনও করেছেন তারা।

এতে বেরিয়ে এসেছে ঐ নারীর বিভিন্ন তথ্য। নিজেদের কাবিন ব্যবসার শিকার, প্রতারিত ও ভুক্তভোগী দাবি করে হাবিব ও তার পরিবার জানান – ঐ নারী একজন প্রতারক তার একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রও রয়েছে যাদের কাজ পুরষদের ফাঁদে ফেলা।ওই নারীর এর আগে অন্তত ৪ জন স্বামী ছিলো।

এরমধ্যে সর্বশেষ ১২ বছর সংসার করা শাহজাহান নামে ঐ নারীর স্বামীর সাথে তার আইনিভাবে ডিভোর্সও হয়নি৷কারণ শাহজাহানের দাবি তিনি ডিভোর্সের কপি পাননি৷ শাহজাহানের সংসারে ওই নারীর এক ছেলে সন্তানও রয়েছে।

এছাড়া ওই নারীর এর আগে চারঘাটের রুবেল ও মোজাম এসকে বাদল নামের দুইজন এবং পুঠিয়ার বানেশ্বর মৌগাছির ফিরোজ নামে ১ ব্যক্তি, এবং কাটাখালীর শাহজাহানসহ মোট ৪ ব্যক্তির সাথে বিয়ে হয়েছিলো৷

এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে অগ্রযাত্রা কথা বলে ঐ নারীর সাবেক ৩ স্বামীর সাথে । তারা অগ্রযাত্রা কে বলেন-

হাবিব ও তার পরিবারের দাবি হাবিবকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ২০ সেপ্টেম্বর পুঠিয়ার ভালুকগাছী ইউনিয়নের জিউপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে ঐ নারী হাবিবকে ডেকে নেন। এরপর স্থানীয় বিএনপি পন্থী মেম্বার আলমের নেতৃত্বে আরো কয়েকজন যুবকের সহযোগিতায় স্থানীয় কাজীকে ডেকে জোরপূর্বক হাবিবকে ৫ লক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ের কাগজ তৈরি করেন।

এ ঘটনায় ঐ এলাকার আলম মেম্বার ও ডিস মিলনসহ ঐ নারীর সাথে আরো কয়েকজন ব্যক্তি জড়িত আছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী হাবিব। এছাড়া হাবিবের কাকা নুরুল হুদা, ও কাকি লাকি বেগমেরও এ ষড়যন্ত্রে হাত আছে বলে অভিযোগ তার৷ হাবিবের পরিবার এ ব্যাপারে ঐ নারীর সাথে বিয়ের রেজিস্ট্রি বাতিল চেয়ে আদালতে আবেদনও করেছেন৷ হাবিবের পরিবারের প্রশ্ন- ঐ নারীর কয়জন স্বামী লাগে। তার আগে ৪ জন স্বামী রয়েছে৷ ২ দিন পর পর স্বামী পাল্টানো তার নেশা। পুরুষদের ব্লাকমেইল করাই এখন তার পেশা। সে ভালো মেয়ে হলে তো তাকে বাড়ির বৌ হিসেবে মেনে নিতে সমস্যা ছিলো না।

কিন্ত জেনে শুনে এমন দুশ্চরিত্রা, ও বার বার স্বামী পাল্টানো একজন নারীকে কেনো ঘরে তুলবো। যার একটি সন্তানও রয়েছে। তার ৪ নং স্বামী শাহজাহানকে তিনি তালাকও সমাপ্ত করতে পারেননি। তাহলে এমন নারীকপ পুত্রবধূ কিভাবে করতে পারি? অনশন, থানায় অভিযোগ এসবই ঐ নারীর নাটক এবং সংঘবদ্ধভাবে সে দীর্ঘদিন ধরে পুরুষদের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করে হাবিবের পরিবার।

তারা আরো বলে ওই নারী একা নয় – জিউপাড়ার বিএনপিপন্থী ইউপি মেম্বার আলম, ডিস মিলনসহ আরো কয়েকজন মিলে সংঘবদ্ধ এই কাবিন ব্যবসা শুরু করেছেন৷ আর তাদের এই কাবিন ব্যবসার বলি হচ্ছেন রুবেল, ফিরোজ,মোজাম,শাহজাহান, হাবিবের মতন একের পর এক যুবক৷

এ ব্যাপারে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। নয়তো সামাজিক অবক্ষয় বাড়বে বলেও মনে করেন তারা৷