প্রতিনিধি ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৪:২১:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।১২ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয় সৌমিত্র গায়েন আর সুনীতা যাদবের।কনে বিয়ের আগে জানতেন না যে বর এইচআইভি পজিটিভ।বিয়ের পাঁচ দিন পর জানতে পারলেন।বিষয়টি স্ত্রী মেনে নিলেও সমস্যা বাধল অন্য জায়গায়।শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই ব্যক্তিকে স্কুলে আসতে নিষেধ করে দিয়েছে।
ঘটনাটি ভারতের পশ্চিম বঙ্গের সোনারপুর এলাকার।
একটি বেসরকারি স্কুলে স্পেশাল এডুকেটর হিসাবে কর্মরত ছিলেন সৌমিত্র।তিনি এইচআইভি পজিটিভ জানার পরই তাঁকে ৯০ দিনের জন্য ‘ছুটি’তে পাঠায় স্কুল।স্কুলের এই সিদ্ধান্তে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।স্কুলের বরাতে জানা গেছে,এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি গোপন করে চাকরি করছিলেন সৌমিত্র।সে কারণেই তাঁকে সাময়িকভাবে কাজ থেকে ‘ছুটি’তে পাঠানো হয়েছে।পরবর্তীতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিক করেছে।
সৌমিত্র গায়েনের কথায়,যেদিন কাজে যোগ দেওয়ার ছিল, তার আগের দিন আমাকে ফোন করে ডাকা হয়।সন্ধ্যাবেলা আমাকে স্যারের চেম্বারে গিয়ে দেখা করতে বলা হয়।আমি যাওয়ার পর বলছেন,বুঝতেই তো পারছ পরিস্থিতি।কেউ জানত না এটা।তুমি কিছুদিনের জন্য ছুটিতে চলে যাও। অফিস থেকে বেতন নিয়ে যেতে বলেন।
একইসঙ্গে বলেন,যোগাযোগ রাখবে আমাদের সঙ্গে।মাঝে মাঝে আসবে।তারপরও যদি পরিস্থিতি ঠিক না হয় তাহলে আরও কিছুদিন ছুটিতে থাকবে।”
সৌমিত্রের বক্তব্য,তিনি এইচআইভি পজিটিভ জানার পর স্কুলের উপর নানা চাপ আসছে বলে জানানো হয়েছে স্কুল থেকে। সৌমিত্র বলেন, “অভিভাবকরা ভয় পাচ্ছেন,তাঁদের বাচ্চাদের যদি এরকম কিছু হয়।
সৌমিত্রের নববধূ সুনীতা জানান,বিয়ের পর পরই স্বামীর চাকরি থেকে এভাবে বসে যাওয়া মন খারাপ করে দেয় তাঁর।
এমন ঘটনার তীব্র নিন্দায় রাজনৈতিক মহলও।তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ফেসবুকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান শুক্রবার রাতে।
শনিবার তিনি বলেন, “এইচআইভি আক্রান্ত তো জন্মসূত্রে। তাঁদের দোষ নয় তো।অথচ তার জন্য চাকরি চলে যাচ্ছে। কেন হবে এটা? সমাজ সচেতনতা,বড় বড় কথা,লোককে জ্ঞান দেওয়া এগুলো কথায়? চাকরি ফিরিয়ে দিন।