স্বাস্হ্য ও জীবন পরিচর্যা

নোয়াখালীতে তিনটি বেসরকারি হাসপাতালকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

  প্রতিনিধি ৬ জুলাই ২০২৩ , ২:৫৮:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।হাসপাতালে লাইসেন্স,পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র,প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকা,মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি,নির্দিষ্ট সংখ্যক চিকিৎসক ও ডিপ্লোমা নার্স না থাকায় নোয়াখালীতে তিনটি বেসরকারি হাসপাতালকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।এছাড়াও রোগীদের প্রলোভন দেখিয়ে ভর্তি করায় মুন হাসপাতালে দুই দালালকে আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন,এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত দাস।এসময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো.সোহরাব হোসেন।

অভিযানে নোয়াখালী ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যান নূর নবী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদ হোসেনকে ২ লাখ টাকা,মুন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.শহিদুল ইসলাম সাঈদকে ১ লাখ টাকা ও আদর হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সময় মুন হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে রোগী ভর্তি করাতে আসা দুই দালালকে আটক করা হয়।

নোয়াখালীতে পাঁচ শতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে যার অধিকাংশই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ভুল চিকিৎসাসহ হয়রানির শিকার হয়।এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব-১১।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো.সোহরাব হোসেন বলেন,বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনা করার জন্য সরকারের সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়মনীতি আছে। এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই অনেকে তাদের প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন।তারা প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও নার্সসহ অন্য জনবল নিয়োগ দেন না।অনেকে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কাগজপত্র হালনাগাদ করছেন না।এসব তথ্যে ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে আজ প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত দাস বলেন,অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকরা তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও জনবল দেখাতে পারেনি।এছাড়া তাদের ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে।এসব অপরাধে তাদের অর্থদকণ্ড দেয়া হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন,আমরা বিভিন্ন সময় রোগী ও তাদের স্বজনদের থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করেছি। জনস্বার্থে আমাদের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

আরও খবর

Sponsered content