জাতীয়

রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করতে উদ্যোগ নিয়েছে-বাংলাদেশ

  প্রতিনিধি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৫:৩১:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পাইলট প্রকল্পের আওতায় কিছু রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ।এ বিষয়ে মিয়ানমারের দিক থেকেও সম্মতি থাকায় শিগগিরই দেশটির সঙ্গে বৈঠকে বসছে ঢাকা।

জানা যায়,মিয়ানমারের নেপিদোতে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মহাপরিচালক পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।ঢাকা ও নেপিদোর কূটনৈতিক সূত্রগুলো থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র বলছে,চীনের মধ্যস্থতায় যেকোনো সময়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে রাজি আছে মিয়ানমার। তবে অতীত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় হিসাব-নিকাশ কষেই প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় ঢাকা।মিয়ানমারে হতে যাওয়া মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠকে শুরুতে কত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করতে চায় নেপিদো, প্রত্যাবাসন শুরুর পর পরবর্তী ব্যাচ শুরুর প্রক্রিয়া এবং রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফেরার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের উদ্যোগ, বিশেষ করে রোহিঙ্গা ফেরত যাওয়ার আস্থা অর্জনের বিষয়ে জোর দেবে ঢাকা।

২ সেপ্টেম্বর একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে নেইপিদো গেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির।৪ সেপ্টেম্বর প্রত্যাবাসন শুরু করাসহ রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই নিয়ে আলোচনা করতে দুই দেশের মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক হবে।

বৈঠকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ফিরতি সফরে তাদের রাখাইনে ফেরানো নিয়ে মনোবল বাড়াতে নেইপিদোর একটি প্রতিনিধিদলের কক্সবাজারে কবে নাগাদ আসবে,তা চূড়ান্ত হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে,পাইলট প্রকল্পের আওতায় তিন হাজার রোহিঙ্গাকে রাখাইনে প্রত্যাবাসন করার জন্য তালিকা করেছে সরকার।এদের মধ্য থেকে প্রত্যাবাসন শুরু হলে প্রথম ব্যাচে হাজারখানেক রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।এক্ষেত্রে বাংলাদেশ একই পরিবার এবং এলাকার রোহিঙ্গাদের পাঠানোর পক্ষে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান জানান,রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে ভারত এবং চীন।এটাকে দক্ষিণ এশিয়া বা বাংলাদেশের সংকট বা মিয়ানমারের সংকট হিসেবে দেখলে হবে না।এটা তো রিফিউজি ক্রাইসিস,এটার স্পর্শকাতরতা বিশ্ব পর্যায়ে।

তিনি বলেন,বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্ম থেকে এপ্রোচ করতে পারলে ভালো হতো।বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্ম থেকে যে জোরালো ভূমিকা রাখা উচিত,সেটা থেকে আমরা কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি।সত্যিকারে এ সমস্যা সমাধানে যে ধরণের বহুপাক্ষিক এপ্রোচ নেওয়ার দরকার ছিল,সেটা হয়নি।

শুধুমাত্র চীন নির্ভরতায় রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান আসবে না বলে মনে করছেন অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান।

আরও খবর

Sponsered content