Uncategorized

কক্সবাজারে হোটেলে আলু ভর্তা-ভাত খেয়ে ৪০০ টাকা বিল!

  প্রতিনিধি ৩ মার্চ ২০২৩ , ৩:৫০:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সাবেক সহ-সভাপতি তৌফিক রহমান।তিনি বলেন,আমাদের কেয়ারিং কেপাসিটি বাড়াতে হবে।দেখা যায় বেশি মানুষ কক্সবাজার গেলে থাকার জায়গা পায় না।আলু ভর্তা-ভাত খেয়ে ৪০০ টাকা বিল দিতে হয়।এসব আমাদের সমালোচনা বাড়ায়, পর্যটক কমায়। এমন অবস্থা চললে পর্যটক আসবে না।’

শুক্রবার (৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে অভ্যন্তরীণ পর্যটন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় মানুষের অবিবেচনার দায় নিয়ে পুরো সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি এখন মৃত বলে মন্তব্য করেন তৌফিক রহমান।সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ারের একটি বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন,সেন্ট মার্টিন দ্বীপে আর একটি কোরালও বেঁচে নেই,পুরো সেন্ট মার্টিন এখন মৃত দ্বীপ।’

তিনি বলেন,তিনটি জিনিষের কারণে সেন্ট মার্টিন মৃত।এক- সেখানে হাজার হাজার নৌকার নোঙর পাওয়া গেছে,দুই- পলিথিন এবং মানবসৃষ্ট নানা বর্জ্য,তিন- নেট বা জালের কারণে কোরালের ক্ষতি হয়েছে। আর এসব কারণে সেন্ট মার্টিন এখন মৃত দ্বীপ।’

তিনি বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।তিনি বলেন,আমাদের দেশি পর্যটকের চেয়ে এখন বিদেশি পর্যটকের ওপর ফোকাস করতে হবে। দেশ সমৃদ্ধ হয় বিদেশি পর্যটক এলে।বিদেশি পর্যটক যত আসবে,তত বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসবে।আর এটা আমাদের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

টোয়াবের এই নেতা আরও বলেন,থাইল্যান্ডে ২০১৯ সালে মোট পর্যটক গেছে প্রায় তিন কোটি।কিন্তু ২০২২ সালে তা কমে এক কোটি ২০ লাখে এসে ঠেকে।তারা ২০২৩ সালে আবারও তিন কোটি পর্যটক টানতে নিয়েছে নানা উদ্যোগ। তবে আমরা বিদেশি পর্যটক টানতে কী পদক্ষেপ নিয়েছি, আমাদের দেশে বিদেশি পর্যটক আসা দিন দিন কমছে।’

পর্যটক বাড়াতে কন্ট্রোল ওয়েতে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তৌফিক রহমান বলেন,আমাদের ফোকাস করতে হবে বিদেশি ট্রাভেলারের ওপর।তবেই জিডিপি বাড়বে,বৈদেশি মুদ্রাও আসবে।’

আরও খবর

Sponsered content