রাজনীতি

ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে-ওবায়দুল‌ কাদের

  প্রতিনিধি ১ এপ্রিল ২০২৩ , ২:০১:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দাবি করেছেন,প্রথম আলো অনলাইনের প্রতিবেদনের মাধ্যমে একটি মহলের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলটির এক যৌথ সভায় তিনি এ দাবি করেন।

ওবায়দুল কাদের দাবি করে বলেন,প্রথম আলোর সংবাদটির যে ভাষা,এক দিনমজুরের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশ করেছে,এটি সাধারণ কোনো দিনমজুরের বক্তব্য নাকি প্রথম আলোর দেওয়া বয়ান,সেটিও ভাববার সময় এসেছে।’

ওবায়দুল কাদের আরও দাবি করেন,প্রথম আলো একটি বিশেষ মহলের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ‘কুৎসামূলক’ সংবাদ পরিবেশন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন,স্বাধীনতা দিবসের দিন বিশ্বের প্রতিটি দেশের গণমাধ্যম ওই দেশকে নিয়ে উদ্দীপনামূলক, অনুপ্রেরণামূলক বাণী দিয়ে নতুনভাবে দেশকে ভালোবাসার উৎসাহ জোগায়।তবে তাঁর দাবি,প্রথম আলো তার নিজস্ব ও তার প্রভুদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য জাতির সামনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে তরুণ সমাজের মনে হতাশা-ক্ষোভ সৃষ্টির জন্য উসকানি দেওয়ার অপচেষ্টা করে।’

২৬ মার্চ জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রথম ওই প্রতিবেদন ও ফেসবুকে একটি ‘ফটো কার্ড’ তৈরি সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন,অনেকে বলছে,এটা তাদের (প্রথম আলোর) ভুল।আমি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই—স্বাধীনতা দিবসের দিনে বাঙালি জাতির ৫২ বছরের অর্জন ও মর্যাদা নিয়ে তামাশা করা সাধারণ কোনো ভুল নয়।’

২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের এক প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘ফটো কার্ড’ তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ছবি ছিল একটি শিশুর।পোস্ট দেওয়ার ১৭ মিনিটের মাথায় অসংগতিটি নজরে আসে এবং সঙ্গে সঙ্গে তা প্রত্যাহার করা হয়।পাশাপাশি সংশোধন দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়।প্রতিবেদনের কোথাও বলা হয়নি যে উক্তিটি ওই শিশুর।বরং স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে,উক্তিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের।

গত ২৬ মার্চ প্রথম আলো ফেসবুকের ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক মন্ত্রী ও নেতা প্রথম আলোর সমালোচনা করে আসছেন।একই সঙ্গে দলটির অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনগুলো কর্মসূচি পালন করছে।এরই মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দুটি হয়। মামলা দুটির মধ্যে প্রথমটির বাদী ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ গোলাম মো. কিবরিয়া।অপরটির বাদী আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক),যিনি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি।প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভার) শামসুজ্জামানকে তেজগাঁও থানার মামলা নয়,রমনা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তার সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবি জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ,নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (নোয়াব) বিভিন্ন মানবাধিকার,সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও নাগরিক সংগঠন এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনও এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন সরকারের আমলে নানা ধরনের হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়।এখনো তাঁর বিরুদ্ধে অর্ধশত মামলা রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content