কৃষি সংবাদ

উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা-কৃষিমন্ত্রী,আব্দুর রাজ্জাক

  প্রতিনিধি ২৬ জুলাই ২০২৩ , ২:২৩:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।কৃষিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিশ্বব্যাপী কৃষিপণ্যের বাণিজ্য ও ফুড ভ্যালু চেইন কিছুসংখ্যক বড় কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা।তাই খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষকের স্বার্থরক্ষায় সব দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বুধবার (২৬ জুলাই) ইতালির স্থানীয় সময় সকালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদর দফতরে চলমান ইউএন ফুড সিস্টেমস সামিটের শেষ দিনে কৃষি-খাদ্যব্যবস্থার রূপান্তরে কৃষি বাণিজ্য শীর্ষক সেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন,ইদানীং দেখা যাচ্ছে,বিশ্বব্যাপী কৃষিপণ্যের বাণিজ্য ও ফুড ভ্যালু চেইন কিছুসংখ্যক বড় কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে।ফলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না।বিশেষ করে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে যেখানে ক্ষুদ্র কৃষক ও উদ্যোক্তা বেশি,সেখানে কৃষকদের স্বার্থরক্ষা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হচ্ছে না।সে জন্য,বাণিজ্য ও বিপণনে কৃষকের স্বার্থরক্ষায় সব দেশকে একযোগে কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশে কৃষিপণ্যের বাণিজ্য ও সুষ্ঠু বিপণনব্যবস্থা গড়ে তুলতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে বর্তমান সরকার।উৎপাদন খরচ কমাতে ভর্তুকি প্রদান, যান্ত্রিকীকরণ এবং উন্নত জাত ও প্রযুক্তি ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।একই সঙ্গে কৃষিপণ্যের বাজার বিস্তৃত করতে প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রফতানি বৃদ্ধির জন্য নানান পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন,বছরে আমাদের সারের চাহিদার ৮০ শতাংশ, ভোজ্যতেলের ৯০ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এ ছাড়াও সয়াবিন,কিছু শাকসবজি ও ফলমূল আমদানির প্রয়োজন পড়ে।সম্প্রতি যুদ্ধের কারণে এসব আমদানি পণ্যের দাম অনেক বেড়েছে।সে জন্য,কৃষি-খাদ্যব্যবস্থাকে রূপান্তরের মাধ্যমে কৃষিপণ্যের সুষ্ঠু বাণিজ্য ও নিরবচ্ছিন্ন ফুড ভ্যালু চেইন গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার,বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার,ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর,কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার ও পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content