জাতীয়

ইপিজেড শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ১৭৫ টাকা

  প্রতিনিধি ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৪:৫৪:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতাসহ ইপিজেড শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ১৭৫ টাকা।আর সর্বোচ্চ মজুরি ১৭ হাজার টাকা।এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন মাসিক মূল বেতন ৫ হাজার ২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৭৫০ টাকা।রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে গঠিত ‘ইপিজেড নিম্নতম মজুরি বোর্ড’ এ সুপারিশ করেছে। ৯ ডিসেম্বর এ সুপারিশ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

গত ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানকে চেয়ারম্যান করে এই মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়।কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুপারিশ দেওয়ার অনুশাসন দেওয়া হয়।সুপারিশে সবার ক্ষেত্রে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ও ২ হাজার ৩৭৫ টাকা চিকিৎসা ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সুপারিশে ইপিজেড এলাকায় অবস্থিত গার্মেন্টস/গার্মেন্টস এক্সেসরিজ,জুতা/ জুতার এক্সেসরিজ,চামড়াজাত পণ্য, সেবা প্রদানকারী,তাঁবু ও তাঁবু-এক্সেসরিজ,প্লাস্টিক পণ্য,খেলনা, ক্যাপ অ্যান্ড হ্যাটস এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের ক্ষেত্রে শিক্ষানবিশ শ্রমিকের ন্যূনতম মূল বেতন ৫২০০ টাকা,বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাসহ সাকুল্য বেতন ১০ হাজার ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া আন-স্কিলড শ্রমিকের ন্যূনতম মূল বেতন ৭ হাজার ২৫০ টাকা,বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাসহ সাকুল্য বেতন ১৩ হাজার ২৫০ টাকা;সেমি-স্কিল্ড শ্রমিকের ন্যূনতম মূল বেতন ৭ হাজার ৮৬৭ টাকা,বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাসহ সাকুল্য বেতন ১৪ হাজার ১৭৫ টাকা।স্কিল্ড গ্রেড-২ শ্রমিকের ন্যূনতম মূল বেতন ৮ হাজার ৩০০ টাকা,বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাসহ সাকুল্য বেতন ১৪ হাজার ৮২৫ টাকা।হাইস্কিল্ড শ্রমিকের ন্যূনতম মূল বেতন ৯ হাজার ৭৫০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাসহ সাকুল্য বেতন ১৭ হাজার।

ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য,সফ্টওয়্যার,লেন্স ও গ্লাস পণ্য,মেটাল ও মেটালকাস্টিং,অটোমোবাইল ও অটো পার্টস, বাইসাইকেল,ভারী শিল্প,প্রসাধনী,নৌকা,গল্ফ শ্যাফট,ফিশিং ইক্যুইপমেন্টস এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের ক্ষেত্রে শিক্ষনবিশে শ্রমিকের ন্যূনতম মূল বেতন ৫২০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাসহ সাকুল্য বেতন ১০ হাজার ১৭৫ টাকা।জুনিয়র অপারেটর শ্রমিকের ন্যূনতম মূল বেতন ৭ হাজার ৮৬৭ টাকা,বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাসহ সাকুল্য বেতন ১৪ হাজার ১৭৫ টাকা।অপারেটরের ন্যূনতম মূল বেতন ৮ হাজার ৩০০ টাকা,বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাসহ সাকুল্য বেতন ১৪ হাজার ৮২৫ টাকা;সিনিয়র অপারেটরের ন্যূনতম মূল বেতন ৯ হাজার ৭৫০ টাকা,বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাসহ সাকুল্য বেতন ১৭ হাজার।

টেক্সটাইল,কেমিক্যাল,ডাইং,অয়েল অ্যান্ড রিফাইনারি/কৃষি পণ্য/আসবাবপত্র/কাঠ ও বাঁশজাত পণ্য/এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের শিক্ষনবিশে শ্রমিকের ন্যূনতম মূল বেতন ৫২০০ টাকা,বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাসহ সাকুল্য বেতন ১০ হাজার ১৭৫ টাকা; আন-স্কিল শ্রমিকের ন্যূনতম মূল বেতন ৭ হাজার ২৫০ টাকা,বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাসহ সাকুল্য বেতন ১৩ হাজার ২৫০ টাকা; সেমি-স্কিল্ড শ্রমিকের ন্যূনতম মূল বেতন ৭ হাজার ৮৬৭ টাকা,বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাসহ সাকুল্য বেতন ১৪ হাজার ১৭৫ টাকা; স্কিল্ড গ্রেড-২ শ্রমিকের ন্যূনতম মূল বেতন ৮ হাজার ৩০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাসহ সাকুল্য বেতন ১৪ হাজার ৮২৫ টাকা; হাইস্কিল্ড শ্রমিকের ন্যূনতম মূল বেতন ৯ হাজার ৭৫০ টাকা,বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাসহ সাকুল্য বেতন ১৭ হাজার।

টেরি টাওয়েল,সোয়েটার,উইগস এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের ক্ষেত্রে শিক্ষনবিশে শ্রমিকের ন্যূনতম মূল বেতন ৫২০০ টাকা,বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাসহ সাকুল্য বেতন ১০ হাজার ১৭৫ টাকা; পূরণভিত্তিক শ্রমিকের ন্যূনতম মূল বেতন ৭ হাজার ২৫০ টাকা,বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাসহ সাকুল্য বেতন ১৩ হাজার ২৫০ টাকা।

এ বেতন ভাতার বাইরে প্রতিটি শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের শ্রমিকের জন্য খাদ্য অথবা খাদ্য ভাতা এবং পরিবহন সুবিধা অথবা যাতায়াত ভাতা শ্রমিকের মোট মজুরির অতিরিক্ত হবে। এক্ষেত্রে যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা এসব সুবিধা অথবা ভাতাসমূহ পেয়ে আসছেন তা কোনোভাবেই কমানো যাবে না।

নিয়োগকর্তা বা মালিকপক্ষ ইচ্ছা করলে স্ব-উদ্যোগে বা এককভাবে বা যৌথ উদ্যোগে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী কোনও শ্রমিকদের অধিক হারে মজুরি প্রদান করতে পারবেন।

সার্বিক কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতে শ্রমিকদের বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধির হার নির্ধারণ হবে।এক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ শ্রমিকের বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধির হার হবে মূল মজুরির ন্যূনতম ১০ শতাংশ।অবশিষ্ট শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির হার তাদের কাজের মানের ওপর ভিত্তি করে মূল মজুরির ন্যূনতম ৫ থেকে ১০ শতাংশ হবে।তবে কোনোক্রমেই তা ৫ শতাংশের কম হবে।মজুরি বোর্ডের এই সুপারিশ ১ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে কার্যকর হবে বলে সুপারিশে উল্লেখ করা হয়।

আরও খবর

Sponsered content