রাজনীতি

আমি বলতে চেয়েছি, বিএনপি নির্বাচনে আসুক-কৃষিমন্ত্রী,ড. আব্দুর রাজ্জাক

  প্রতিনিধি ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ , ২:২৯:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।এক রাতে সব নেতার মুক্তির প্রস্তাবেও রাজি হয়নি বিএনপি’ এমন বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘আমি বলতে চেয়েছি, বিএনপি নির্বাচনে আসুক।’

সোমবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশকে স্থিতিশীল রাখার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি নেতাদের জেলে রাখা হয়েছে।তাদের নির্বাচনে আসার জন্য বারবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।এক রাতে সব নেতাকে মুক্তির প্রস্তাবেও বিএনপি রাজি হয়নি।সাক্ষাৎকারটি গতকাল রোববার সম্প্রচার হয়।

এ বক্তব্যের ব্যাখ্যায় কৃষিমন্ত্রী বলেন,আমি বলতে চেয়েছি যে,আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ সব সময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চেতনা লালন করে।আমরা সব সময় চেয়েছি,এই নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করুক।সেটা বহুবার আমি বলেছি। অবশ্যই বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল, তাদের নির্বাচনে আমরা আনতে চেষ্টা করেছি কিন্তু সংবিধানের বাইরে আমাদের যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন,আমার কথার মূল বক্তব্য ছিল,প্রধানমন্ত্রী সব সময় চেয়েছেন এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করুক।সেটা বলতে গিয়ে আমি বলেছি কতদূর…নির্বাচন কমিশনের কথা বলেছি। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন,আমি মনে করি, আমি যা বলেছি,ভুল বলিনি।সামান্যতম ভুল বলিনি।একদম বক্তব্য ঠিক আছে।অনেক কথা মধ্যে এসেছে তো,কাজেই ওরা দেখায়নি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আন্তরিকভাবে চেয়েছে বিএনপি অংশগ্রহণ করুক।এই কথাটা বলতে গিয়ে আমি সেদিন কিছু কথা-বার্তা বলেছি।আমি সেদিন এটাও বলেছি, বিএনপি চায় নির্বাচনটা বানচাল হোক, তারেক জিয়ার নামে মামলা রয়েছে,তার শাস্তি রয়েছে। সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।তার মা অসুস্থ, তারও শাস্তি রয়েছে।কাজেই আমার ধারণা,আমার ভুল হতে পারে,আমার ধারণা তারা নির্বাচনে আসতে চান না। তারা সব সময় চেয়েছেন নির্বাচন বানচাল করতে।

তিনি আরও বলেন,আওয়ামী লীগের বক্তব্য হলো সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো ক্রমেই নির্বাচন করা সম্ভব না।পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।জাপান,ভারত,শ্রীলঙ্কা,যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য,কানাডা, পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হয় না।কাজেই আওয়ামী লীগের তো কোনো বিকল্প নেই।এই কথাটাই আমি বলেছি।এই পদ্ধতির মধ্যে থেকে বিএনপি বলতে পারতো নির্বাচন কীভাবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা যায়।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন,সে ক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন নিতে পারতাম।আরও অনেক বেশি মনিটর আসতো বিদেশ থেকে।তারা কাজ করতো।এই যে এখন ওসিদের বদলি করছে,এ রকম এসপিদের কথা যেত,ডিসিদের করা যেত। অর্থাৎ নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করার জন্য যা যা করা দরকার; সংবিধান,প্রধানমন্ত্রী, এই সরকার রেখে আওয়ামী লীগ সব সময় করতে চেয়েছে।বিএনপি সেটা বিশ্বাস করেনি। বিএনপি গেছে আন্দোলনে।আন্দোলনের নামে যখন প্রধান বিচারপতির বাসায় আগুন দেয়,বাড়িতে আক্রমণ করে।আমার পাশের বাড়ি,আমি সেদিন বাড়িতে ছিলাম। সেদিন যদি তারা সফল হতো,পুলিশ যদি না আসতো, তারা আমার বাসায় আক্রমণ করত।

আরও খবর

Sponsered content