জাতীয়

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর স্যাংশন দেবে-আরেকদিকে তাদের নিরাপত্তা চাইবে-এটা কেমন কথা;-প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা

  প্রতিনিধি ৬ অক্টোবর ২০২৩ , ২:৩৩:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,একদিকে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর স্যাংশন দেবে আরেকদিকে তাদের নিরাপত্তা চাইবে এটা কেমন কথা।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম (ইউএনজিএ) অধিবেশনে যোগদানের ফলাফল সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমেরিকায় আমাদের রাষ্ট্রদূতকে তেমন কোনো নিরাপত্তা দেওয়া হয় না।অপরদিকে বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাসের জন্য ১৫৮ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা রয়েছে।এছাড়া মার্কিন রাষ্ট্রদূতের জন্য রয়েছে আলাদা বডিগার্ড।মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার তেমন কোনো অভাব নেই।হলি আর্টিজান হামলার পর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তার বাড়ানো হয়েছিল।তবে বর্তমানে এমন কোনো অসুবিধা নেই এবং আমাদেরও পুলিশ দরকার তাই বাড়তি নিরাপত্তা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন,নির্বাচন নিয়ে আমাদের নিজেদেরও কিছু দোষ আছে।যারা ভোট চুরি করেছে তাদের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনতে হয়।জিয়া,এরশাদ,খালেদা জিয়া সবই তো ভোট চোর।আওয়ামী লীগের হাত ধরে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়েছে।এদেশের মানুষ জানে,নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নতি হয়েছে।মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছে।দারিদ্র বিমোচন হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন,দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তোলে।তখন বলতে হয়, সন্দেহ হয় রে।যারা ভোট পাবে না,যাদের জনসমর্থন নেই। যাদের কোটি কোটি টাকা আছে,তারা বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন,যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে।যখন দেশে স্বৈরশাসন ছিল,আমরা সংগ্রাম করেছি।নির্বাচন ব্যবস্থার যে সংস্কার।ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।এটা আওয়ামী লীগই করেছে।আমাকে শেখাতে হবে না।একটানা আমরা ক্ষমতায় আছি বলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

এর আগে গত ১৭-২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন এবং অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের ও দ্বিপাক্ষিক অনুষ্ঠানে এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন।এছাড়া তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

আরও খবর

Sponsered content