অপরাধ-আইন-আদালত

অর্জিত সম্পদ দান করা হলে তা থেকেও আয়কর দিতে হয় (দানকারীকে), যা অনেকেই জানেন না!

  প্রতিনিধি ৪ জুন ২০২৩ , ৩:৫১:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।আট শ্রেনীর দান ব্যতিত দানকারীর সম্পদের কর আদায় করতে হবে।প্রতিবছর সরকার ঘোষিত বাজেটে নাগরিকদের আয়কর দেয়া নিয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।তাই আয়কর নিয়ে কমবেশি সবাই ভাবনায় থাকেন।আয়ের বাইরেও নিজের অর্জিত সম্পদ দান করা হলে তা থেকেও আয়কর দিতে হয় (দানকারীকে),যা অনেকেই জানেন না।দানের প্রক্রিয়াটি কীভাবে সম্পন্ন হলে তা করযোগ্যতা হারাবে, সে বিষয়ে বলা আছে ১৯৯০ সালের দানকর আইনে।দানকরের বিষয়ে আইনটির ৩ ধারায় বলা হয়েছে,১৯৯০ সালের ১ জুলাই থেকে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনো আর্থিক বছরে সম্পাদিত সব দানের ওপর তফসিলে বর্ণিত হারে কর ধার্য হবে।অর্থাৎ,আর্থিক বছরগুলোতে যে সম্পদ দানের যে কার্যক্রম সম্পাদিত হয়,তার কর দায় তফসিল (সরকার প্রদত্ত) মোতাবেক দানকারী ব্যক্তিকে পরিশোধ করতে হবে। আবার একই আইনে কাকে,কীভাবে দান করা হলে তা থেকে দানকারী ব্যক্তি কর মওকুফের আওতায় আসতে পারে,সে বিষয়টিও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

যেভাবে দানকরের অব্যাহতি পাবেন:-আমাদের দেশে সম্পদের মালিকের মৃত্যুশয্যায় কিংবা উইলমূলে দানের প্রচলন সবচেয়ে বেশি।আর এ বিষয়টিও কর রেয়াত পেতে আইনে সুস্পষ্ট করা হয়েছে।দানকর আইন,১৯৯০–এর ৪ ধারা অনুসারে দানকর থেকে অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়টি প্রযোজ্য হবে।যদি ৪(১) ধারামতে (ক)দানকৃত সম্পত্তি বাংলাদেশের বাইরে অবস্থিত হয়;(খ)সরকার বা কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে দান করা হয়; (গ)দাতব্য উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত কোনো তহবিল বা প্রতিষ্ঠানকে করা হয়;(ঘ)ভরণপোষণের জন্য দানকারীর ওপর নির্ভরশীল কোনো আত্মীয়ের বিয়ের সময় সর্বোচ্চ বিশ হাজার টাকার মূল্য পর্যন্ত দান করা হয়;(ঙ) স্ত্রী ব্যতীত,ভরণপোষণের জন্য তার ওপর নির্ভরশীল কোনো আত্মীয়কে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা মূল্য পর্যন্ত বিমা বা বার্ষিক বৃত্তির পলিসি করে দিলে;(চ)উইল করে দান করলে; (ছ)মৃত্যুচিন্তায় থাকায় মৃত্যুশয্যায় থাকা ব্যক্তি দান করলে;(জ) পুত্র-কন্যা,পিতা-মাতা,স্বামী/স্ত্রী,আপন ভাই-বোনকে দান করলে দানকারী ব্যক্তিকে দান করা সম্পদের ওপর কোনো কর দিতে হবে না।

আরও খবর

Sponsered content