প্রতিনিধি ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৪:০২:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:- সুদের টাকা দিতে না পেরে ১৩ বছরের মেয়েকে ওই সুদের কারবারির সঙ্গে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন অসহায় বাবা ইউসুফ মিয়া। এ নিয়ে পুরো এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের রাঙ্গাচিরা গ্রামে গত শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে ওই গ্রামের দরিদ্র ইউসুফ মিয়া অভাব অনটনের কারণে উপজেলার চিলাবাড়ি এলাকার সিরাজুল ইসলামের (৫৫) কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ধার নিয়ে তা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন।
তাই সুদখোর সিরাজুল ইসলাম স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগীতা চান। পরে প্রভাবশালীরা ইসুফকে মেয়ে বিয়ে দিতে চাপ ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকেন।
পরে মানসন্মানের ভয়ে মেয়েকে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হন। শুক্রবার গভীর রাতে স্থানীয় কাজী আমিরুল ইসলাম এ বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেন। সিরাজুল ইসলাম সদর উপজেলার চিলাবাড়ি গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে।
রাঙাচিরা গ্রামের ইউপি সদস্য সোলাইমান মন্ডল ওরফে সলু মন্ডল জানান, অভাব-অনটনের কারণে সিরাজুল ইসলামের কাছে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মা-বাবা। তবে এ ঘটনা আগে জানতে পারলে তিনি এমনটি হতে দিতেন না।
সিরাজুল ইসলাম বিয়ের কথা স্বীকার করে জানান,তার স্ত্রী অসুস্থ থাকায় পরিবারের মতামত নিয়ে প্রস্তাবের মাধ্যমেই অল্প বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে করেছেন।তবে মেয়েটির পরিবারকে সুদের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সাংবাদিকদের জানান, বিয়ের কথা তিনি শুনেছেন তবে সুদের টাকার জন্য চাপ দিয়ে মেয়েটিকে বিয়ে করা হয়েছে কিনা তা জানেন না।