বিনোদন

আসিফকে ১৮ বছর আগে লেখা এক ভক্তের চিঠি পড়ে অবাক!

  প্রতিনিধি ৬ এপ্রিল ২০২৩ , ১:২৪:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

বিনোদন ডেস্ক রিপোর্ট।।জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর অনেক ভক্তের মন কেড়েছে।আগে অনেক ভক্তই পছন্দের তারকাকে চিঠির মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতেন।কিন্তু সময় স্বল্পতা কিংবা ব্যস্ততার কারণে অনেক চিঠিই তারকাদের পড়া হয় না।প্রায় ১৮ বছর আগে ১৩ বছরের এক কিশোরী আসিফকে চিঠি লিখেছিলেন।

সম্প্রতি চিঠিতে ওই ভক্তের তাঁর গানের প্রতি ভালোবাসার মুগ্ধতা দেখে অবাক হয়ে আসিফ তাঁর ফেসবুক পেজে সেই কিশোরীর ছবিসহ একটা স্ট্যাটাস দেন।

স্ট্যাটাসে আসিফ লিখেছেন, জ্যাম এড়াতে মাঝেমধ্যেই রিক্সায় চড়ে স্টুডিওতে যাই।সময়মত কাজে পৌঁছানো আমার পেশাদারীত্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যাপ্টার।গত ৪ এপ্রিল আমার পিছনে একটা খালি রিক্সার চালক উদাস মনে গাইছিল – যেতে চাইলে কাউকে ধরে রাখা যায়না গানটি।মগবাজার রেলক্রসিংয়ের প্রচুর শব্দ আর হালকা ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে নিজের গান শুনতে বেশ ভালো লাগছিল। একটু পর সে আমার রিক্সা ক্রস করতেই চোখাচোখি হলো। গাইতে গাইতেই সালাম দিয়ে হাসিমুখে চলে গেল। একফাঁকে বললো আজকে আমার জীবন ধন্য। তবে কোনো সেলফির ঘটনা ঘটেনি। বহনকারী রিক্সাওয়ালা মামা আমাকে চেনেন না, তিনি বললেন- এই ছেলেটারে চিনেন মামা। বললাম- আমি তাকে চিনিনা, সে আমাকে চেনে।তিনি ব্যাপারটা ঠিক বুঝে উঠতে পারলেন না,আমাকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলেন।

এতে তিনি আরও লিখেছেন,‘আইদাহ্ (আসিফের মেয়ে) দুপুরে আমার সঙ্গেই খেলে।ওর সঙ্গে খেলার সময় ড্রয়িংরুমে হঠাৎ করে একটা মুখবন্ধ খামের ওপর চোখ গেল।তারিখ লেখা ০৯/০৫/২০০৫।খুলে দেখলাম ভেতরে ছবি,সঙ্গে একটা চিঠি।ওর নাম শারমীন আক্তার মুন্নী।আমাকে “চাচ্চু” সম্বোধন করে লেখা।আমার ব্যক্তিজীবন,গান,পরিবার সব তাঁর পছন্দ। একদিন অনেক বড় গায়িকা হওয়ার ইচ্ছা তার।চিঠিটা অন্য কারও হাতে পড়লে অবশ্যই যেন আমাকে পৌঁছে দেয়,এটা তার আকুতি।সেই চিঠি ১৮ বছর পর আজ খুলে দেখলাম। চিঠিটি পড়তে গিয়ে চোখের কোণে পানিই চলে এলো।অদ্ভুত অপরাধবোধ আর শূন্যতায় বুকটা হাহাকার করে উঠল। মেয়েটা নিশ্চয়ই এখন ম্যাচিউরড,নিশ্চয়ই তার মনে একটা গুমোট অতৃপ্তি রয়ে গেছে,যেটার দায়ভার সম্পূর্ণ আমার। পরিত্যক্ত ট্রাভেল স্যুটকেস আর কার্টনভর্তি লাখো চিঠি বেগমের সংগ্রহে।সেগুলো খোলার সময়ই মেলেনি।ফ্যানরা যেভাবে আমার অ্যালবামগুলো আগলে রেখেছে অসীম আবেগ দিয়ে,বেগমের কাছেও তাদের সব চিঠি সযত্ন রাখা রংবেরঙের স্মৃতি নিয়ে।’

স্ট্যাটাসের শেষে তিনি লিখেছেন,বহু বছর পর মনে হলো, আমার আসলে গোছানো কোনো অবসরের সুযোগ নেই। শান্ত,স্নিগ্ধ,সৌম্য,টাইপ শব্দগুলো আমার সঙ্গে যায় না। কলোরাডো নদীর মতো স্বগর্জনে গিরিখাত কাঁপানো গতিপথই আমার নিয়তি।তবু পড়তে হবে,এই হাজার হাজার চিঠির ভেতর আটকে থাকা আবেগগুলোর নির্যাস নেওয়ার সময় এসেছে।সব ধুলা মুছে আবারও একাকার হয়ে যাব পুরোনো ভালোবাসায়।’

সঙ্গীতশিল্পী বলেন,ভালবাসা অবিরাম। ছবিতে ছোট্ট মুন্নীর সঙ্গে নিজেকে জুড়ে দিলাম..।

আরও খবর

Sponsered content