রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটি একটি ডেড ইস্যু-ওবায়দুল কাদের

  প্রতিনিধি ১৩ মার্চ ২০২৩ , ৪:২১:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন-সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন,তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটি একটি ডেড ইস্যু।অনির্বাচিত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে জনগণ ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন,গণতন্ত্রকামী প্রত্যেকটি মানুষ জানে,জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত নয় এমন ব্যক্তি দ্বারা এক মূহুর্তের জন্যও রাষ্ট্র পরিচালনা সম্পূর্ণরূপে গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শের পরিপন্থী। অনির্বাচিত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে জনগণ ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ে।দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক সুস্পষ্টভাবে অবৈধ ও অসাংবিধানিক আখ্যা দেওয়া কোনো পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া অসম্ভব।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন,মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি প্রসঙ্গে হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মনগড়া ও বানোয়াট মন্তব্য করেছেন।নিরবচ্ছিন্নভাবে জনগণের বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার আদানির কাছ থেকে একটি লাভজনক চুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, ভারতের একটি কোম্পানিকে দিয়ে ২ বিলিয়ন ডলার এককালীন বিনিয়োগ করিয়ে,ভারতের অভ্যন্তরে ৬০০ একর জমির উপর বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানিয়ে,ভারতের আকাশে কয়লা পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে,তা সর্বনিম্ন দামে ক্রয় করে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে এবং সেই বিদ্যুৎ বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,পুরোপুরি বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করেই এই চুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এই চুক্তির ফলে লাভবান হয়েছে।যারা বিদ্যুতের বদলে জনগণকে খাম্বা দিয়েছে,বিদ্যুতের দাবি করায় জনগণের উপর গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে,তাদের মুখে বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলা মানায় না।

ওবায়দুল কাদের বলেন,দেশবাসী ভুলে যায়নি,ক্ষমতা দখলের নীলনকশা বাস্তবায়নে ১৯৯১ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়েছিল বলে কয়েক বছর আগে সে দেশের আদালতে সংস্থাটির তৎকালীন প্রধান জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছিল।২০০১ সালের নির্বাচনের আগে বিদেশি প্রভুদের কাছে আমাদের জাতীয় সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল খালেদা জিয়া।তারই ধারাবাহিকতায় আমরা দেখি, ক্ষমতা দখলের জন্য কীভাবে বিএনপি নেতারা বিদেশি দূতাবাসগুলোতে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content