প্রতিনিধি ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৬:৪৩:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি: রাজশাহী মহানগরীতে জেনেরেটর নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে সেই মিলন ও তার স্ত্রী বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে শারমিন জামিল নামের এক ভুক্তভোগী নারী।
বুধবার (৩১ আগস্ট) রাতে মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
অভিযোগের বরাত দিয়ে জানা যায়, মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার মিয়াপাড়া, এলাকার মৃত ডাবলুর ছেলে মোঃ নূরে ইসলাম মিলন (৪২) ও তার স্ত্রী মৌ (৩৫) গত (জুন ২০২১) সালে সাগর পাড়ার সাখওয়াত নামের এক ব্যক্তির বিল্ডিং-এ ভাড়া থাকতেন।
একই বিল্ডিং-এর নিচ তলায় শপিং মল ছিলো মিলন দম্পত্তীর। সেই সুবাদে তাদের সাথে ভুক্তভোগী শারমিনের সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পরে তিনি তার স্বামীর বাড়ি ঢাকায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন। ওই সময় (২০০০) হর্স পাওয়ারের বাটারফ্লাই ব্রান্ডের একটি নতুন জেনেরেটর ছিলো তার। যাহার মূল্য ২২ হাজার টাকা।
মিলন ও তার স্ত্রী তাদের সাগর পাড়া মোড়ে স্বপ্ন বাজার নামে একটি শপিং মলের জন্য জেনেরেটরটি রেখে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। বলেন কিছুদিন পরেই আমরা আপনাকে এই মেশিনটির মূল্য পরিশোধ করে দিবো ওথবা আপনি রাজশাহীতে আসলে ফেরত দিবো।
কিন্তু ভুক্তভোগী শারমিন বুঝতে পরেনি ওই দম্পত্তী তার সাথে প্রতারণা করে অনত্র জেনেরেটরটি অনত্র বেঁচে দিবে। পরে ভূক্তভোগী রাজশাহী ফিরে গত অনুমানিক ৬মাস যাবত তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা আমাকে পাত্তা দেয় না।
লোকমুখে জানতে পারেন জেনেরেটরটি একটি দোকানীর কাছে ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে মিলন দম্পতিরা।
এরপর মিলনের স্ত্রীর ভাই রাব্বানীর সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে ওই নারী জেনেরেটরটি ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। সেই কল রেকর্ডটি তার মোবাইলে সংরক্ষন আছে।
এরইমধ্যে ওই দম্পত্তী ভূক্তভোগীর ফোন নম্বরটি ব্ল্যাক লিস্টে ফেলে দেয়। ফলে তিনি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। তিনি বুঝতে পারেন তার প্রতারণা করছে ওই দম্পতি।
কোন উপায় না দেখে জেনেরেটরটি উদ্ধারে ওই দম্পত্তীর বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যপারে বৃহস্পতিবার অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানের মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিলনকে ফোন দিয়ে জেনেরেটর ফেরত দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
কিন্তু সে বলছে আমাকে না বলে থানায় অভিযোগ দিয়েছে কেন ? আমি আদালতের মাধ্যমে জেনেরেটর দেবো।
তিনি আরও বলেন, মিলনকে রাত ৮টায় থানায় ডাকা হয়েছে। কথা বলে দেখি কি হয়। নইলে ওসি স্যারের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।