আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার

  প্রতিনিধি ১২ আগস্ট ২০২৩ , ৪:১৩:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।আনোয়ারুল হক কাকারকে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। তার কাজ নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত দেশকে পরিচালিত করা।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় বলে খবর পাকিস্তানের ইংরেজি ভাষার দৈনিক ডন এর।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,আজ (শনিবার) ইসলামাবাদে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের বিদায়ী বিরোধীদলের নেতা রাজা রিয়াজ সেনেটর আনোয়ারুল হক কাকার এর নামের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করার পর প্রত্যাশিত এই ঘোষণাটি আসে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনোয়ারুলকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে একমত হওয়ার পর শাহবাজ এবং রাজা রিয়াজ তাদের পরামর্শ জানিয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে একটি চিঠি পাঠান।চিঠি পাওয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট তাতে অনুমোদন জানান।

আনোয়ারুল হক রোববার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রাজা রিয়াজ।তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন সে বিষয়ে শনিবার শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি।

কে এই আনোয়ারুল হক কাকার:

বেলুচিস্তান থেকে ২০১৮ সালে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সেনেটর নির্বাচিত হন আনোয়ারুল হক কাকার।২০২৪ সালের মার্চে তার ছয় বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।

তিনি সেনেটের ওভারসিস পাকিস্তানি অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে সেনেট স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আরো বেশ কয়েকটি কমিটিতে তিনি সদস্য হিসেবে আছেন।

তিনি ইংরেজি,উর্দু,পার্সিয়ান,পশতু,বালোচি এবং ব্রাহভি ভাষায় কথা বলতে পারেন।

পাকিস্তানের সাবেক তথ্যমন্ত্রী এবং ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর সাবেক নেতা ফাওয়াদ চৌধুরি বলেন,আনোয়ারুল হক একজন ‘সৎ, শিক্ষিত এবং আধুনিক’ পাকিস্তানি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি লেখেন,দীর্ঘ সময় পর পাকিস্তানের জন্য কিছু ভালো খবর এসেছে।আল্লাহ আপনার সহায় হন এবং পাকিস্তানের জন্য এই সিদ্ধান্ত আশির্বাদ হয়ে উঠুক।”

পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তিনদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের পরামর্শে গত বুধবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।

পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্টে ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারই জাতীয় নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করবে।

তবে এ বছর নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দেশে নতুন আদমশুমারির কাজ শুরু হওয়ায় ভোট কয়েক মাস পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

আদমশুমারি সম্পন্ন করতে এবং নতুন নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করতে প্রায় চার মাস সময় লেগে যেতে পারে বলে এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দেশটির বিদায়ী সরকারের আইনমন্ত্রী।

যার অর্থ,নভেম্বরে যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল সেটা অন্তত কয়েক মাস পিছিয়ে যেতে পারে; পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা কুনওয়ার দিলশাদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই বলেছিলেন।

তিনি বলেন,পরিস্থিতি বেশ জটিল রূপ নিতে যাচ্ছে।নতুন আদমশুমারির অর্থ পুরো দেশজুড়ে নতুন করে নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণ করতে হবে।সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সাংবিধানিকভাবে প্রয়োজনীয় সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।যার অর্থ,আগামী বছর ফেব্রুয়ারির আগে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে না।”

কারাদণ্ডে দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান এ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content