প্রতিনিধি ২৯ মার্চ ২০২৪ , ৬:১৮:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন,বিএনপির ভারতীয় পণ্য বয়কট একটি ‘পলিটিক্যাল স্ট্যান্ট’।সম্প্রতি ভারতীয় পণ্য বয়কটের যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে,তাতে বিএনপিও সায় দিচ্ছে।যা একেবারেই অবান্তর।এটি তাদের বাহবা পাওয়ার একটি চেষ্টা।ভারতীয় পণ্য বর্জন কেবলই তাদের একটি ‘পলিটিক্যাল স্ট্যান্ট’।এটা কোনো কর্মসূচি হতে পারে না।বর্তমান যুগে সকল দেশই আন্তঃনির্ভরশীল।ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে তারা হয়তো কিছু লোকের বাহবা পাবেন।কিন্তু তা দেশের মঙ্গল বয়ে আনবে না।এটি একটি আত্মঘাতি অবস্থান।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে ন্যাম ভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে আব্দুল মোমেন বলেন,এবারের সংসদীয় কমিটিতে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।তার মধ্যে একটি ইস্যু হলো,প্রায়ই আমরা প্রবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাই।আপনারা জানেন যে,বিদেশে চলা সবগুলো মিশনের একজন প্রধান ইন্সপেক্টর আছেন।আমরা সুপারিশ করেছি যে, প্রত্যেক মাসে প্রবাসীদের কাছ থেকে কতগুলো এবং কি অভিযোগ আসে,তার বিবরণ যেন আমাদের জানানো হয়। এছাড়া যেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই,সেসব দেশে অনারারি কাউন্সিল খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।বিভিন্ন দেশের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ব্যবস্থা গ্রহণ,বিদেশি পার্লামেন্টারি ডেলিগেশনের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আয়োজন,আন্দামান দ্বীপপুঞ্জসহ বিদেশের কোন কোন জেলে কত বাংলাদেশি বন্দি এবং মুক্তির বিষয়ে মিশনগুলো কি করেছে,সেসবের বিবরণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন,বর্তমানে মানবাধিকার বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন উইং আছে,আমরা সুপারিশ করেছি এর পাশাপাশি যেন মানবাধিকার উইং খোলা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন দেশে দূতরা যখন বদলি হন,তখন তিনি দূতাবাসের নম্বরটি সঙ্গে করে নিয়ে যান। ফলে সেবাগ্রহীতারা তৎক্ষণাৎ সেবা পায় না।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করার জন্য একটি ইউনিক ফোন নম্বর তৈরি করা বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে।