রাজনীতি

সাংসদ পংকজ নাথ”র ক্যাডার বাহিনীর তান্ডব!

  প্রতিনিধি ৪ অক্টোবর ২০২২ , ৮:১২:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর ভোট বর্জন—-

মাজহারুল ইসলাম।।ঢাকার শাহবাগে বিহঙ্গ বাসে পেট্রলবোমা মেরে ১১ জন যাত্রীকে পুড়িয়ে মেরে,কৌশলে মনোনয়ন ভাগিয়ে নৌকার প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচিত-বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে পংকজ নাথ—সাংবাদিক সম্মেলনে বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঈদুল ইসলাম—–!

গতকাল‌ মঙ্গলবার (২৩ মে ২০১৭) বেলা ১২টায় সাংবাদিক সম্মেলনে বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মঈদুল ইসলাম বলেন-এমপি পংকজ নাথ গনতন্ত্র ধারাবাহিক রক্ষার্থে ৫ জানুয়ারি ২০১৪ নৌকার প্রতীকের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করে,সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পংকজ আওয়ামীলীগের নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক রাজনীতি শুরু করেছে।পংকজ নাথ ১৯৯৬ সালের পূর্বে বাকশাল রাজনীতি সাথে জড়িত ছিল।

বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোদ্ধা প্রয়াত সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম মহিউদ্দিন আহমেদের সুবাধে আওয়ামী লীগে যোগদান করে।পরে সেচ্চাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়।

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিএনপির দূর্নীতি ও অনিয়মের সকল অপরাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হাওয়া ভবনের নেতা তারেক রহমান,জাহাঙ্গীর হোসেন,বিতর্কিত ব্যবসায়ী ও তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন খান আল মামুনের ঘনিষ্ঠ সহচর ও ব্যবসায়ী অংশীদার ছিল পংকজ নাথ।

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের প্রতি নির্মম অত্যাচার,নির্যাতন,হামলা-মামলা,জেল-জুলুম,অন্যায়-অবিচার,খুন-জখম,গুম-অপহরন নির্যাতনের ষ্টিম রোলার চললেও পংকজ নাথ ৮/১০ জনের পুলিশ প্রোটকল(নিরাপত্তা ) ঘুরে বেড়াতেন।

এক এগারো সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফকরুদ্দিন আহমেদ,মঈন ইউ আহমেদ আমলে দূর্নীতি করে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পংকজ নাথ।তার স্ত্রী মনিকা নাথের ৩ বছরের সাজা হয়েছিল।পরে উচ্চ আদালতে আপিল করে জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলা স্থগিত করেছে।

বরিশাল-৪ হিজলা,মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি গ্রামে এমপি পংকজ নাথের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সন্ত্রাসী,দূর্নীতি-অনিয়ম,অপরাজনীতি ইতিহাসের এক ন্যাক্কারজনক কলংময় অধ্যায় রজনা করছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন দেয়ার আগে ২ ডিসেম্বর ২০১৩ ঢাকার রাজপথে শাহবাগে সংসদ পংকজ নাথের মালিকানাধীন বিহঙ্গ গাড়িতে তার নিজস্ব এজেন্ট দিয়ে পেট্রোল বোমা মেরে নিরীহ ১১জন যাত্রীকে হত্যা করে কৌশলে মনোনয়ন ভাগিয়ে নেয় পংকজ নাথ।

পংকজ নাথ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সন্ত্রাসী ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।তার নির্দেশে দুই শতাধিক আওয়ামী লীগের ত্যাগী-পরিক্ষীত নেতা-কর্মীদের হাত-পা ভেঙে পঙ্গু করেছে।তার হিংসাত্মক রাজনীতি বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারেনা।বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদকর্মীদের উপরও হামলা চালানো হয়েছে।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী দাড় করিয়েছে।মেহেন্দিগঞ্জে”র ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে জয়ী করতে সেচ্চাসেবক লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের খুন,জখম,হামলা-মামলায় জড়িয়েছে।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ১১নং চানপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ মাহে আলম ঢালীকে ২২ মে ১৮ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক-পরিবহন,সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপিকে অবগত করায় তাদের নির্দেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোঃ মাহে আলম ঢালীকে মুক্ত করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ মে ২০১৭) সকাল ৮টা থেকে চানপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রতিটি কেন্দ্রে বহিরাগত ২শতাধিক সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগের সমর্থিত নৌকা প্রতীকের এজেন্ট,ভোটার সমর্থকদের পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

পংকজ নাথের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় আহত আওয়ামী লীগের ৩৫জন নেতাকর্মীদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি এবং ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

মাহে আলম নির্বাচন বর্জন করে পূর্বক লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার শওকত আলীকে বেলা ১০ টায় অবগত করেন।

লিখিত কপির রিভিস সহ অনুলিপি প্রধান নির্বাচন কমিশনার,বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার,বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সহ সংশ্লিট সকল দপ্তরে দেয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রিভিস কপি সাংবাদিকদের দেয়া হয়েছে।

পুলিশের উপস্থিতিতে সেচ্চাসেবক লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে।

গত ২২মে সাংবাদিক সম্মেলনে পংকজ নাথ ড্যাহা মিথ্যা কথা,বানোয়াট,ভিত্তিহীন,মনগড়া বক্তব্য পেশ করেন।

সংসদ সদস্য পংকজ নাথের সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডব আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা,সাধারন সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন,সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোঃ আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দরা অবগত আছেন।

বিএনপির জামায়াত-শিবিরের অনুগত হাওয়া ভবনের নেতা পংকজ নাথ মেহেন্দিগঞ্জ,হিজলা,কাজিরহাট থানার প্রতিটি এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচারের ষ্টিম রোলার চালাচ্ছে।হামলা-মামলা,নির্যাতন-নিপীড়ন,খুন,জখমের পরেও ক্ষান্ত হয়নি রক্ত পিপাসু পংকজ নাথ।জাল-জালিয়াতির ভূয়া রেকর্ড(পর্চা) খতিয়ান দাখিলাসহ দিয়ে তারই চাচাতো ভাই রামকৃষ্ণ নাথের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ১শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

জেলা প্রশাসন,ভূমি প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার সহি/স্বাক্ষর,শীল জাল-জালিয়াতি করে সহিমোহর খতিয়ান(পর্চ) দাখিলাসহ দেয়।দূর্নীতি দমন কমিশন,জেলা প্রশাসন,বিভাগীয় প্রশাসন,র্যাব,পুলিশ,সিআইডি,ডিবি,সিটিএসবি,পিবিআই,ডিজিএফআই,এসএএফ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্হা অনুসন্ধানে মাঠে নামলেও পিছপা হয়নি জালিয়াতি চক্ররা।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ২৭টি স্কুলে এবং ১টি কলেজের শিক্ষকদের কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।বর্তমানে স্কুল-কলেজের নিয়োগ বানিজ্য দূর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন রয়েছে।

মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা,কাজিরহাট থানার প্রতিটি প্রকল্পের ২০% কমিশন নেয়।টিআর,কাবিখা,কাবিটা,জিআর,বিজিএফ,ভিজিডি,এলজিএসফি,এলজিআরডি সহ সকল উন্নয়ন প্রকল্প ও অনুদান,আর্থিক প্রকল্পের ১৫% কমিশন নেয়া হচ্ছে।

অতিসম্প্রতি স্কুলের দপ্তরী নিয়োগ নামে গড়ে সাড়ে চার লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে।সরকারী প্রতিটি দপ্তরে নিয়োগ দেয়ার নামে ৫০ কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য করছে।

সংসদ সদস্য পংকজ নাথের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে ২০/৩০ জন বিএনপির জামায়াত-শিবিরের থেকে যোগদানকারী সেচ্চাসেবক লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে চুরি,ডাকাতি,রাহাজানী,সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজি,ভূমিদস্যুতা,অস্ত্রবাজী,নারী-শিশু নির্যাতন,অপহরন,ধর্ষন,গনধর্ষন,নারী-শিশু পাচার,মাদক ব্যবসা,জাল টাকার ব্যবসা,সামাজিক দূর্নীতি-অনিয়ম, দাঙ্গা-হামাঙ্গা,আত্মহত্যা প্রবনতা,বিবাহ বিচ্ছেদ,অপরাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করতেই জঘন্যতম অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান।কেউ প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাদেরকে হামলা চালানো হয়। প্রায় দুই শতাধিক আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের হামলা চালিয়েছে পঙ্গু করা হয়।

বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মইদুল ইসলাম বলেন-দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি।বর্তমানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।সে আর জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবেন না।তবুও কেন! পংকজ নাথের অন্তরজ্বালা আওয়ামী লীগের ত্যাগী-পরিক্ষীত নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করছে না।পংকজ নাথ কি?ভাবেন,বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিবেন।তাহলে বিএনপির সাবেক অর্থ প্রতিমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ আবুল হোসাইন এমপির ভায়রা বিজিবির প্রধান মেজর শাকিল আহমেদ বিডিআর বিদ্রোহে নিহতের ঘটনায় পংকজ নাথকে দায়ী করছে।

বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঈদুল ইসলাম আরো বলেন,একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী যে হোক তারই নির্বাচন করবেন।এমনকি পংকজ নাথকে পূর্নরায় মনোনয়ন দিলে নৌকার প্রার্থীর বিজয়ের লক্ষ্যে জীবন উৎসর্গ করতে রাজি আছেন।

বরিশাল জেলা মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ১১নং চানপুর ইউনিয়নের নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার,স্হানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সকল দপ্তরে সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এ ব্যাপারে বরিশাল-হিজলা,মেহেন্দিগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য পংকজ নাথের কাছে তাক্ষনিক সাংবাদিকরা ফোন করে জানতে চাইলে,তিনি বলেছেন মঈদুল ইসলাম জাতীয় পার্টির নেতা ছিলেন।সে গঠনতান্ত্রিক বিরোধী কথা বলতে পারে।মাঈদুল কি? বিরোধী দলের নেতা।একথা শুধু বিএনপি বলছে।

এবিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সরকারের সফল সড়ক পরিবহন-সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন- পংকজ নাথের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।আওয়ালীগের ত্যাগী-পরিক্ষীত নেতা-কর্মীদের নির্যাতন,হামলা-মামলা ও খুন-জখম সহ হিংসাত্মক রাজনীতির প্রমাণ হলেই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।সংসদ পংকজ নাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।তবে সাংসদ সদস্য পংকজ নাথের অভিযোগ সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী করতে হবে।সংবাদ সম্মেলন করা উচিত না,প্রমান পেলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিস্তারিত আসছে——–বরিশালের স্হানীয় ও জাতীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।
২৪ মে ২০১৭ দৈনিক বাংলাদেশ বানী।

আরও খবর

Sponsered content