প্রতিনিধি ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩:১১:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি।।জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মালিরচর জিগাতলা গ্ৰামে মোছাঃ মাহমুদা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে জোড় পূর্বক ধরে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার ৩ টার সময়ে বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর কবীর আলমাছের বাড়িতে এই ঘটনা টি ঘটে।
এই ঘটনায় অপরাধী জড়িত গৃহবধূর ভাসুরের স্ত্রী মোছাঃ
শিলা বেগম (৩৫) নামে এক নারীকে আটক করেছেন
বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ। আটককৃত নারী হয়েছে শিলা বেগম
আজাদের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, প্রায় ১২ বছর যাবৎ বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মালিরচর জিগাতলা গ্ৰামের মৃত দিন্দার
আলীর ছেলে এবং বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর কবীর আলমাছের সহদর ভাই আসাদুল হকের সঙ্গে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পার রামরাম পুর ইউনিয়নের
ঝাউডাঙ্গা গ্ৰামের মোঃ মাহাজন মিয়ার বড় কন্যা মাহমুদা বেগমের সাথে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর কয়েক বছর পর আসাদুল স্ত্রী মোছাঃ মাহমুদা বেগম কে রেখে বিদেশ (ব্রুনাই) যান। গত দুই মাস আগে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসেন আসাদুল। ৪/৫ দিন আগে মাহমুদা বেগম কে বেড়ানোর কথা বলে বাপের বাড়ি ঝাউডাঙ্গা গ্ৰামে রেখে আসেন আসাদুল হক।
সোমবার দুপুরে ৩ বছর বয়সী শিশু কন্যা নিয়ে স্বামীর বাড়ি
মালিরচর জিগাতলা আসেন এই গৃহবধূ।এসময়ে তাকে বাড়িতে ডুকতে বাঁধা দেয় আসাদুলের স্বজনরা।কোন তাকে বাড়িতে ডুকতে দিচ্ছেন জানতে চাইলে বাড়ীর লোকজনরা জানান তোমাকে আসাদুল তালাক দিয়েছে।
তাই বাড়ীতে প্রবেশ করতে পারবে না।এক পর্যায়ে জোড় পূর্বক স্বামীর ঘরে প্রবেশের চেষ্টা করেন মাহমুদা।এক পর্যায়ে স্বামী আসাদুল হক এর তার বড় ভাই এরশাদ আলী, ভাতিজা সায়ুম আলী ভাসুরের স্ত্রী মোছাঃ শিলা বেগম ও জাহিদা বেগম গৃহবধূ মাহমুদা বেগম কে মার পিট করে জোড় পূর্বক ধরে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন চালায়।
নির্যাতিত গৃহবধূর মা মনোয়ারা বেগম বলেন,তারা বলেছেন
আমার মেয়েকে ১২ দিন আগে তালাক দিয়েছেন।তাহলে
তালাক দেওয়ার পরও কিছু না জানিয়ে সংসার কেমনে করলো।আজকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করলো।আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জানান যে,এই ঘটনার শিলা বেগম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্ৰহন করা হবে।