অপরাধ-আইন-আদালত

শ্রীপুর ইউনিয়নে ইউপি সদস্যকে শারীরিক হামলা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ: চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা দাবি

  প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ , ১০:০৭:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ১৪নং শ্রীপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য মোঃ নোমান মোল্লা স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশীদ মোল্লার বিরুদ্ধে শারীরিক লাঞ্চিত,হুমকি এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন।

মোঃ নোমান মোল্লা জানান,২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে এলাকার এক অসহায় মহিলা মুন্নি আক্তারকে স্থানীয় ব্যবসায়ী মাসুদ হাওলাদার যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন।তিনি ঘটনার তথ্য স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদমাধ্যম এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকদের অবগত করেন।মেহেন্দিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও অন্যান্য সাংবাদিক সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ,যিনি ধর্ষকের বন্ধু, পুলিশের সহায়তায় ঘটনাটি ঢাকতে চেষ্টা করেন।২৫ সেপ্টেম্বর সংবাদটি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়।

এরপর,২৭ অক্টোবর ২০২০ তারিখে শ্রীপুর বাজারে চেয়ারম্যান নোমান মোল্লার কাছে ৮০,০০০/- (আশি হাজার) টাকা চাঁদা দাবি করেন।নোমান মোল্লা টাকা দিতে অস্বীকার করলে জনসম্মুখে তাঁকে শারীরিক লাঞ্চিত,অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করা হয় এবং তিন দিনের মধ্যে টাকা না দিলে হাত-পা ভেজে দেওয়ার ও দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

নোমান মোল্লা আরও অভিযোগ করেন,ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান তাঁকে ইউপি কার্যালয়ে যেতে দিচ্ছেন না এবং তাঁর বেতন-ভাতা,সম্মানি ভাতা ও ওয়ার্ডের সরকারি সকল অনুদান আত্মসাৎ করছেন।এছাড়াও,রাস্তা মেরামতের শ্রমিকদের পাওনা ৯০,০০০ টাকা পরিশোধের পরও তা তাঁর হাতে পৌঁছায়নি।

বরিশালের সহকারী পুলিশ সুপার সুকুমার রায় ঘটনাটি তদন্ত করেন।১৬১ ধারায় জবাব গ্রহণের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়।তবুও,চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি,যা প্রশাসনিক দায়িত্বের গুরুতর অবহেলা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আইনি বিশ্লেষণ:
১. স্থানীয় চেয়ারম্যানের কর্মকাণ্ড শারীরিক হামলা (ধারা 325/326) এবং চাঁদাবাজি (প্রতিরোধমূলক আইন ও দুর্নীতি বিরোধী ধারায়) এর মধ্যে পড়ে।
২. ইউপি সদস্য ও সাধারণ নাগরিকদের প্রতি হুমকি এবং সরকারি অনুদান আত্মসাৎ করা দুর্নীতি ও সরকারি সম্পদ অপব্যবহারের অভিযোগে মামলা সংক্রান্ত।
৩. তদন্তকারী পুলিশের অপ্রতুল পদক্ষেপ প্রশাসনিক দায়িত্বে অবহেলার উদাহরণ। আইন অনুযায়ী অবিলম্বে উচ্চ আদালত বা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থায়ী তদন্তের দাবি রয়েছে।

নোমান মোল্লা সাংবাদিকদের জানান,“চেয়ারম্যানের হুমকি এবং চাঁদাবাজির কারণে আমি এবং আমার ওয়ার্ডের জনগণ চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।প্রশাসন যেন দ্রুত এবং কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।”

আরও খবর

Sponsered content

আরও খবর: অপরাধ-আইন-আদালত

রাজধানীতে ৫০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইল: ‘জুলাই যোদ্ধা’ গ্রেপ্তার

শ্রীপুর ইউনিয়নে ইউপি সদস্যকে শারীরিক হামলা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ: চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা দাবি

জুলাই যোদ্ধা’ নাকি মামলাবাণিজ্যের মুখোশ?তাহরিমা গ্রেফতার: ৫০ কোটি টাকার অভিযোগ রাষ্ট্রের জন্য অশনিসংকেত

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে হত্যাকাণ্ডে দুঃখপ্রকাশ: বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন

বরিশালে ইসলামী ব্যাংক শাখার অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা,সাধারণ ডায়েরীভুক্তির আবেদন

আইএমএফ কোড প্রসেসিং ফি দাবিকে ‘অহেতুক ও প্রতারণা’ আখ্যা দিলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ