আরও অন্যান্য সংবাদ

খতিয়ানে ভুল সংশোধনের সুবর্ণ সময় ঘোষণা করেছে-সরকার

  প্রতিনিধি ১৩ নভেম্বর ২০২৫ , ৫:২৪:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।জমির মালিকদের জন্য এসেছে এক অনন্য সুযোগ—খতিয়ানে ভুল সংশোধনের সুবর্ণ সময় ঘোষণা করেছে সরকার।ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী,দেশের বিভিন্ন রেকর্ড বা খতিয়ানে যেসব ভুল রয়েছে,তা এখন সহজ প্রক্রিয়ায় সংশোধন করা যাবে।এতে জমির প্রকৃত মালিকানা রক্ষা পাবে এবং ভবিষ্যতে আইনি জটিলতা অনেকাংশে কমবে।

রেকর্ডে যে ভুলগুলো পাওয়া গেছেঃ-
দেশে এতদিন যেসব রেকর্ড তৈরি হয়েছে—সিএস,এসএ, আরএস,বিএস,সিটি জরিপ,বিয়ারা জরিপ—এর প্রায় সবগুলোতেই ছোট-বড় নানা ভুল রয়েছে।অনেক ক্ষেত্রে একজনের জমি অন্যের নামে চলে গেছে,কোথাও ১০ শতাংশ জমি ৫ শতাংশ দেখানো হয়েছে,আবার কোথাও বেশি হিসাব দেখানো হয়েছে।এসব ভুলের কারণেই জমি-সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনক হারে।

সরকারের নতুন নির্দেশনাঃ-
ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,The State Acquisition and Tenancy Act, 1950–এর ১৪৩ ধারায় এসিল্যান্ডদের নির্দিষ্ট কিছু ভুল সংশোধনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।যেমন—করণিক,গাণিতিক বা স্পষ্ট ভুল।তবে জটিল ভুলগুলো শুধুমাত্র আদালতের মাধ্যমে সংশোধন করতে হবে।

এখন সরকার বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (BDS) চালুর মাধ্যমে দেশের সব রেকর্ড হালনাগাদ করতে যাচ্ছে।২০২৬ সাল থেকেই এটি সারা দেশে একযোগে কার্যকর হবে।তাই যারা জমির প্রকৃত মালিক,তারা এখনই তাদের দলিল,নামজারি, খাজনা রশিদ ও খতিয়ান সংরক্ষণে রাখতে বলা হয়েছে।

যা যা করতে হবে জমির মালিকদের
১.জমির সব দলিল ও বায়া দলিল সঠিকভাবে সংরক্ষণে রাখতে হবে।
২️.জমির দখল নিশ্চিত করতে হবে।দখল হারালে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইন ২০২৩ অনুযায়ী ডিসি বরাবর দরখাস্ত করা যাবে।
৩️.জরিপকারীদের সঠিক তথ্য দিতে হবে—দাগ নম্বর,খতিয়ান নম্বর ও সীমানা পরিষ্কারভাবে জানাতে হবে।
৪️.প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধ এড়িয়ে সীমানা পিলার স্থাপন করে জমি চিহ্নিত রাখতে হবে।
৫️.জরিপে ত্রুটি ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি জানাতে হবে, চুপ থাকা যাবে না।
৬️.জরিপের সময় জমির প্রকৃত মালিক উপস্থিত না থাকলে, একজন বিশ্বস্ত প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত রাখতে হবে।

সরকারের সতর্কবার্তা
ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,কেউ যদি ভুল বা ভুয়া তথ্য দেয়, তবে তা প্রতারণা হিসেবে গণ্য হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তাই সঠিক ও যাচাইযোগ্য তথ্য প্রদান করা অত্যন্ত জরুরি।

উপসংহার:
এই উদ্যোগের ফলে জমির মালিকরা আগেভাগেই তাদের মালিকানা সুরক্ষিত করতে পারবেন।সরকার আশা করছে, ডিজিটাল সার্ভে সম্পন্ন হলে আগামী ১০০ বছর পর্যন্ত জমি নিয়ে কোনো জটিলতা বা মামলা-মোকদ্দমা থাকবে না।

এখনই দলিল,রশিদ ও খতিয়ান ঠিক করে রাখুন—না হলে সুযোগ হারাতে পারেন!

আরও খবর

Sponsered content